আগরতলা, ৪ নভেম্বর (হি.স.) : খোয়াই জেলার রামচন্দ্রঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শূকরের খামারে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় শূকর নিধন করা হচ্ছে। সেই সাথে নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য শূকর খামারে। পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর তৎপর হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর বহিঃরাজ্য থেকে রাজ্যে ও রাজ্যের মধ্য দিয়ে শূকর পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের বিশেষ সচিব ও অধিকর্তা কে শশীকুমার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়ে বলেন, শূকর পালনকারীদের কল্যাণে ও শূকরের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের অনুমোদন ছাড়া কোনও জীবিত বা মৃত শূকর বহিঃরাজ্য থেকে রাজ্যে আনা যাবে না। বাইরে থেকে শূকর পরিবহণকারী একমাত্র সে সব গাড়ি বা রেলে কনসাইনমেন্টকে রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে যেগুলি প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিমেলস অ্যাক্ট ১৯৬০-এর প্রাণী পরিবহণের রুলস ২০০১-এর ৯৬ ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজিওর মেনে প্রবেশ করবে। সেক্ষেত্রে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিকরা বাইরে থেকে আমদানিকৃত শূকরগুলির প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও টিকা সংক্রান্ত অবস্থা যাচাই করবেন। সেজন্য প্রবেশদ্বারে শূকর বোঝাই কনসাইনমেন্ট পৌঁছানোর কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের অধিকর্তাকে জানাতে হবে।
শূকর পালন ছাড়া বাণিজ্যিক কারণে মাংস বিক্রির জন্যও বাইরে থেকে শূকর আনা যাবে না। তাছাড়া যে স্থানে সেই শূকর যাবে সেখানে আমদানিকারী তার নিজের খরচে শূকরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের আগাম অবগতির ভিত্তিতে। তাছাড়া রাজ্যের প্রবেশদ্বারে যদি কোনও বেআইনি / অসুস্থ কনসাইনমেন্ট পাওয়া যায় তা-হলে শূকরের কনসাইনমেন্ট রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র দায়িত্ব থাকবে আমদানিকারীর। অন্যথায় তাকে নিজের খরচে চলতি রোগ প্রতিরোধক আইন অনুযায়ী সেই শূকরগুলির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে হবে।