স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর : বিল জমে পাহাড় সমান। কেটে যাওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। শেষ পর্যন্ত বিল মিটিয়ে দিলেও মিলছে না ইন্টারনেট। হয়রানি শিকার সাধারণ মানুষ। এই দৃশ্য সদর কৈলাশহরের টাউন তহশীল অফিসে। অফিসটি দীর্ঘদিন ধরে নানান অভিযোগে জর্জরিত।
সাধারণ মানুষেরা কৈলাসহরের টাউন তহশীল অফিসের কর্মকান্ড সম্বন্ধে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই টাউন তহশীল অফিস থেকে কোনো ধরনের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিগত মাস দুয়েক ধরে টাউন তহশীল অফিস থেকে কোনো ধরনের পড়চা প্রিন্টিং পাওয়া যাচ্ছে না। এবং পড়চার আপডেট প্রিন্টিং-ও পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষেরা অফিসে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের স্থানীয় কর্তাবাবুরা সবকিছু জেনে শোনেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা।
অথচ পড়চা জিনিসটা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বর্তমান সময়ে পড়চা ছাড়া ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের ঋণ নেওয়া যায় না। তাছাড়া, পড়চা আপডেট না করলে জায়গা বিক্রি করা যায় না। টাউন তহশীল অফিসের কম্পিউটারাইজড ল্যান্ড রেকর্ডসের ইনচার্জ তথা ডেপুটি মাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দেববর্মাকে সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, ইন্টারনেটের বিল জমা না দেওয়ায় বি.এস.এন.এল ইন্টারনেটের লাইন কেটে দেয়। যার ফলে বিগত কিছু দিন ধরে কৈলাসহরের টাউন তহশীল অফিসের সমস্ত কাজই থমকে রয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে ইন্টারনেটের বিল জমা না দেওয়ার ফলে কুড়ি হাজার নয়শো পঁয়ত্রিশ টাকা জমে যায়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বি.এস.এন.এল কর্তৃপক্ষ লাইন কেটে দেয়। তবে, ডেপুটি মাজিস্ট্রেট সঞ্জিব দেববর্মা এও জানান, কুড়ি হাজার নয়শো পঁয়ত্রিশ টাকা গত ১ অক্টোবর দুপুরে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আজ অব্দি টাউন তহশীল অফিসে ইন্টারনেট নেই। সাধারণ মানুষেরা অফিস থেকে ফিরে যাচ্ছেন বলেও সঞ্জীব বাবু স্বীকার করেন। তবে এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিতে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে।