স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ অক্টোবর : কথায় আছে বাঙ্গালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। ভোজন রসিক বাঙালি, সুযোগ পেলেই কবজি ডুবিয়ে খাবে। আর বিজয়া দশমীতে খাবারের পাতে মাছ, মাংস, দই, মিষ্টি থাকবে না, তা কি করে হয়। তাইতো এইদিন বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সকাল থেকে মাছ, মাংস ও মিষ্টির দোকানে ভিড় জমায় ভোজন রসিকরা।
এইদিন বাজারে ইলিশ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে আসে মাছ বিক্রেতারা। ক্রেতারাও নিজেদের পছন্দ মতো মাছ ক্রয় করেন। এক মাছ বিক্রেতা জানান এই বছর মাছের যোগান ভালো রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মাছ এসে পৌঁছেছে বাজারে। ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। চাহিদাও ভালো রয়েছে বলে জানান তিনি। ইলিশ ছাড়াও বাজারে কাতল, চিংরি, রুই সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে আসে বিক্রেতারা। মাংস বাজারেও এইদিন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম ছিল। মাংস বিক্রেতারা জানান ফুটপাতের দোকান শহরে সর্বত্র। তাদের মাংস বিক্রি করতে অসুবিধা হচ্ছে।
তবে পাঠার মাংস ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছেন। খাসির মাংসর দামও পাঠার মাংসের ন্যায়। ফুটপাতের দোকানের জন্য তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে জানান। এদিকে পাঁঠার মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগীর চাহিদাও নেহাত কম ছিল না। কিন্তু যোগান স্বাভাবিক থাকলেও এই বছর ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিল বেশি। আস্ত ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হয় ১৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কাটা ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিল ২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগী আস্ত বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দামে। মানুষ তাদের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে বাজার থেকে সামগ্রী ক্রয় করেছেন। দশমীর দিনে পরিবারের সকলকে নিয়ে এক সাথে আনন্দে মেতে ওঠার জন্যই বাজার মুখী হয়েছেন সকলে। অনেকেই মায়ের কাছে প্রার্থনা জানান আগামী দিন গুলি যেন সকলে মিলে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে কাটাতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের পছন্দ মত রান্না করা হবে বলে জানান এক ক্রেতা। ভোজন রসিক বাঙ্গালির পাতে মাছ, মাংসর পাশাপাশি দই, মিষ্টি থাকবে না – তা কি করে হয়। তাই এইদিন অধিকাংশ ক্রেতা মাছ, মাংস ক্রয় করার পর ভিড় জমান মিষ্টির দোকানে। ক্রেতারা যে যার পছন্দ মতো দই মিষ্টি ক্রয় করে ঘর মুখি হন। তবে বাজার কিছুটা উর্ধমুখী হলেও দশমীর আনন্দে সামিল হতে সকাল থেকে অনেকেই বাজার মুখী হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিজয়া দশমীতে একটু রসনার তৃপ্তি মেটানোর লক্ষ্যে।