স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ অক্টোবর : মাঠ পর্যায়ে গণবণ্টন ব্যবস্থার কার্যকারিতার সার্বিক পর্যালোচনা সহ আসন্ন শারদোৎসব উপলক্ষ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থায় সুলভ মূল্যে ভোক্তাদের মধ্যে ভোজ্য তেল সহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ এবং বিনামূল্যে ক্যানভাস ব্যাগ প্রদান, উৎসবের মরশুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ও প্রাপ্যতা সুনিশ্চিত্তকরণ করা সহ বিভিধ বিষয় নিয়ে সোমবার মহাকরণে ভিডিও কনফারেন্স হলঘরে রাজ্যের ৮ টি জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন মহকুমার মহকুমা শাসক ও খাদ্য দপ্তরের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সাথে গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এবং ভোক্তা সহ সকলের সার্বিক উন্নয়নে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
বৈঠক শেষে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেনে তিনি। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান এবার প্রথম রাজ্যে রেশন শোপের মাধ্যমে সিরিশার তেল ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ভোক্তাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বছরে চার বার ভর্তুকিতে সরিষার তেল প্রদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ম্যানিফ্যাস্টোতে। যার সূচনা হবে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। ২০৫৬ টি রেশন শোপের মাধ্যমে এই সামগ্রী প্রদান করা হবে। ১ লিটার করে কার্ড পিছু পাবে ভোক্তারা। ১২৮ টাকা বীডে তিনজন সাপ্লাইয়ের অর্ডার পেয়েছে। এর বাইরে মশুরী ডাল ১ কেজি, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা, ৫০০ গ্রাম সুজী এবং আঁটা। এই আইটেম গুলি ক্যানভাস ব্যাগের মাধ্যমে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যার প্রতিটির মূল্য পড়ছে ৬৮ টাকা। এতে সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় হবে দপ্তরের। ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ব্যাগ বহিঃ রাজ্য থেকে এসে পৌঁছে গেছে। বাকী ব্যাগ গুলি সহসাই আসবে বলে জানান মন্ত্রী। এই ক্যানভাস ব্যাগের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ রয়েছে মডেল রেশন শোপ করার । প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০৫৬ টি রেশন শোপের মধ্য থেকে আটটি জেলা থেকে বাছাই করে ৬০০ রেশন শোপকে মডেল রেশন শোপে রূপান্তরিত করার। মুখ্যমন্ত্রী এই মডেল রেশন শোপের সূচনা করবেন। প্রতিটি রেশন শোপকে খাদ্য দপ্তর দেবে ৫ হাজার টাকা করে। এতে দপ্তরের ব্যয় হবে ৩০ লক্ষ টাকা । খাদ্য দপ্তরের অধীন ৬৩৫ জন লেভার রয়েছে। যারা লোডিং- আন লোডিং-র সাথে যুক্ত। তাদের দাবী মেনে খাদ্য দপ্তর ২০০০ টাকা করে এগ্রিসিয়া প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করবে দপ্তর। চেকের মাধ্যমে এই কর্মসূচীর সূচনা হবে। মন্ত্রী জানান রাজ্যে খাদ্যের কোন ঘাতটি নেই। আসন্ন উৎসবের মরশুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং কালোবাজারি রুখতে নিয়মিত বাজারগুলোতে সরেজমিনে মনিটরিং করার জন্য তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ প্রদান করেন। উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা ।