স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ সেপ্টেম্বর : আগরতলা পুর নিগমের ২১ নং ওয়ার্ড স্থিত বনমালীপুর দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে রবিবার সকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির সম্পাদক সুবল কুমার দে, মেয়র দীপক মজুমদার এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য। অতিথিরা কবিগুরুর মূর্তিতে পুষ্পাঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির সম্পাদক সুবল কুমার দে।
তিনি নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ডাক দিয়ে বলেন, এই বনমালীপুর পুকুরের আশপাশ এলাকায় কোন এক সময় নেশা কারবারীদের আসর বসত। কিন্তু বর্তমানে সেটা পুলিশ প্রশাসনের টহল দারির কারণে বন্ধ হয়েছে। এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে। কোন ধরনের নেশার আসর বসে না এলাকায়। সরকার যদি চায় তাহলে এই এলাকা নেশা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিতে পারে।
কারণ এই এলাকা পুরোপুরি নেশা মুক্ত। প্রত্যেক এলাকার মানুষ স্থানীয় থানার পুলিশকে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে নেশা মুক্ত সমাজ গড়তে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক। এদিকে মেয়র জানান, আগরতলা শহরকে সার্বিকভাবে সুন্দর করার জন্য এবং নিগমবাসীর সব ধরনের সমস্যার কথা চিন্তা ভাবনা করে শহরকে সাজিয়ে তোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী দাবি ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তি স্থাপন করার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি স্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্ম যাতে কবিগুরু সম্পর্কে অবগত হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ত্রিপুরায় বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। রাজ্যে এসে তিনি উপন্যাস এবং গান রচনা করেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি আরো বলেন, শহর এলাকায় কোথায় কিভাবে কাজ করলে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের সুবিধা হবে সে বিষয়ে যদি পুর নিগমকে এলাকাবাসী অবগত করে তাহলে ভালো হবে।