স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ সেপ্টেম্বর : জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিন চিফ মিনিস্টার ট্রাইবেল ডেভেলপমেন্ট মিশনের মাধ্যমে প্রথম বছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। দপ্তরের মাধ্যমে সুবিধাভোগী জনজাতি পরিবার গুলির রেজিস্ট্রেসান করা হবে। সেই পরিবার গুলির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা হবে।
জনজাতি যুবক যুবতিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের কর্ম সংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। সহসাই এই মিশনের কাজ শুরু করা হবে বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে ৮ জন স্পোর্টস অফিসার নিয়োগ করা হবে সরাসরি। এই স্পোর্টস অফিসারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে স্বীকৃত কোন বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ। তার সাথে বিপিএড করা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোচিং করানোর ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছারাও স্পোর্টস অফিসার গ্রুফ-ডি গেজেটেড পদে ৮ জনকে নিয়োগ করা হবে। টিপিএসসি-র মাধ্যমে এই পদ গুলি পূরণ করা হবে। তিনটি ধাপে পরীক্ষা নিয়ে এই শূন্যপদ গুলি পূরণ করা হবে। জনজাতি কল্যাণ দপ্তর ও এসসি কল্যাণ দপ্তরের অধিন স্থির পদে সুপারভাইজার গ্রুপ-সি পদে ৫০ টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে। শূন্য পদ গুলি পূরণের জন্য অর্থ দপ্তর থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে।
বুধবার রাজ্য মন্ত্রীসভা এই শূন্যপদ গুলি পূরণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য ১২৫ জন শারীর শিক্ষক নিয়োগ করার বিষয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে এইদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর থেকে এই ১২৫ টি শূন্যপদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের অধিন স্কুল গুলির জন্য। পাশাপাশি বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিন ১২৫ জন স্কুল লাইব্রেরিয়ান নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এইদিনের বৈঠকে। বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের অধিন স্কুল গুলির জন্য এই ১২৫ জন স্কুল লাইব্রেরিয়ানের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে নতুন করে। এমবিবি বিশ্ব বিদ্যালয়ে ১৪ টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে। একই সাথে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিন জেনারেল ডিগ্রি কলেজ গুলির জন্য সহকারী অধ্যাপকের ৭৫ টি শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী পেপার লেস প্রশাসনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সহসাই ই-ক্যাবিনেট শুরু করা হবে রাজ্যে। প্রশাসনিক স্তরে ইতিমধ্যে ই-প্রশাসনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এইদিনের মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সহসাই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ই-ক্যাবিনেটের উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান চতুর্থ রাজ্য হিসাবে ত্রিপুরা রাজ্যে ই-ক্যাবিনেট চালু হবে সহসাই।