স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ সেপ্টেম্বর : গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রত্যাশিত ভাবে ২০ বক্সনগর এবং ২৩ ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয় লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন ও বিন্দু দেবনাথ। মঙ্গলবার শপথ গ্রহণ করেন নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক। বিধানসভার লবিতে নব নির্বাচিত বিধায়কদের এক এক করে শপথ বাক্য পাঠ করান বিধান সভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।
এইদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির বিধায়ক ছিল ৩২ জন। আইপিএফটির ছিল এক জন। পরবর্তী সময় বিজেপির একজন বিধায়িকা পদত্যাগের ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে দারায় ৩১ জন। স্বাভাবিক ভাবেই শূন্য আসনে উপনির্বাচন জরুরী ছিল। এরই মধ্যে একজন সিপিআইএম বিধায়ক প্রয়াত হন।
তাই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৩৩ জন। বিজেপি জোটের বিধায়ক হল ৩৪ জন। নব নির্বাচিত বিধায়করা মানুষের আশা প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। শপথ গ্রহণের পর নব নির্বাচিত বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন জানান, প্রথমেই তিনি এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেবেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছে, মানুষের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে নব নির্বাচিত বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ জানান বিধায়ক হিসাবে নিজের দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করার চেষ্টা করবেন। এলাকায় বিশেষ করে শিক্ষা ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান ধনপুর কেন্দ্রে আগে যারা বিধায়ক ছিলেন তারা এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেন নি। এইদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছারাও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্য সদস্যা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, বিজেপি দলের অন্যান্য বিধায়ক বিধায়িকা সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে এদিন বরাবরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্ব শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ বিরোধীদের পরিভাষা এ নির্বাচনের ফলাফল জনগণের নয়। প্রহসনাত্মক নির্বাচন বলে দাবি বিরোধীদের।