স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ আগস্ট : গত ৪ আগস্ট আগরতলা পুর নিগমের বাজেট পেশ করা হয়েছিল। শহরের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে সমস্ত কর্পোরেটরদের উপস্থিতিতে সেদিন ৩৯৭ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়। বৃহস্পতিবার আলোচনাক্রমে এই বাজেট গৃহীত হয়। এবং এই বাজেটের অর্থ ব্যয় করা হবে রাস্তাঘাট সংস্কার করা, ড্রেইন সংস্কার করা, আলোকসজ্জা, জিম এবং পার্ক নির্মাণের জন্য বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বলেন, গৃহীত বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ৫৫ লক্ষাধিক টাকা। এই ঘাটতি নিজস্ব আয় থেকে মেটানো হবে। মেয়র আরো জানান, আগরতলা পুর নিগম কোন কর বৃদ্ধি করেনি।
এবং যারা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছ থেকে যে কোনো কর আদায়ে আগরতলা পুর নিগম ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র জানান, আগরতলা শহর বৃষ্টির জল থেকে মুক্ত করতে আরও তিনটি ডেনেস পাম্প বসানো হবে। রামনগর ৪ নম্বর, শকুন্তলা রোড এবং কৃষ্ণনগর সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্নে বসানো হবে এই ডিনেস পাম্প। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় ওয়ার্ড অফিস বসানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মানুষের মৌলিক চাহিদা সমাধান করতে আগরতলা পুর নিগম কাজ করবে বলে জানান মেয়র দীপক মজুমদার। শহরকে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আগরতলা পুর নিগম কাজ করছে।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বর্জ্য পদার্থ বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এবং পরিতাপের বিষয়ে রাস্তার যেখানে সেখানে আবর্জনা রাতের বেলা ফেলে রাখছে অসচেতন মানুষ। এমনকি তারা ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা ফেলে শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে। মেয়র আক্ষেপের সুরে বলেন বছর বছর কর বৃদ্ধি না হলেও মাত্র ৪৯ শতাংশ মানুষ কর প্রদান করছে। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত দাবি ওঠে নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করা, রাস্তাঘাট সংস্কার করা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করার। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে সঠিকভাবে কর না পেলে সেই উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করতে সমস্যায় করতে হচ্ছে পুর নিগমকে বলে জানান তিনি। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র বলেন যেহেতু আগরতলা শহরে ডেঙ্গু থাবা বসিয়েছে তাই জোনাল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিবাড়িতে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয় এবং ড্রেনগুলি প্রতিনিয়ত যাতে পরিষ্কার করা হয়। প্রয়োজনে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে মানুষের বাড়ি-ঘরে গিয়ে ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ করা হবে বলে জানান মেয়র শ্রী মজুমদার।