স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : পুলিশের নাকা পয়েন্ট ঘেঁষা তিনটি দোকানে শুক্রবার রাতে থাবা বসাল চোরের দল। নিয়ে যায় লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র। ঘটনা আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে রাজধানীর আশ্রম চৌমুহনী এলাকায়। এই এলাকায় লাগাতার সংঘটিত হচ্ছে চুরির ঘটনা। স্থানীয় পূর্ব থানার পুলিশকে জানালেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। চোরদের হাত থেকে নিস্তার পেতে শেষ পর্যন্ত তারা রাজ্য সরকারের প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
গত দুবছরে ১০ থেকে ১২ বার চুরির ঘটনা এলাকায় সংঘটিত হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ এসে শুধু মাত্র অভিযোগই নথিভুক্ত করছে। এখন পর্যন্ত কোন চোরকে জালে তুলতে পারেনি। গত দুদিনে একাধিক চুরির ঘটনা এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে আশ্রম চৌমুহনি স্থিত মুদির দোকান, কামারের দোকান, রিক্সা মেকানিকের দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায়। শনিবার সকালে ব্যবসায়ীর এসে দেখতে পায় কারোর দোকানের দরজা ভাঙা, আবার কারুর দোকানে টিনের ছাউনি কাটা। সাথে সাথে এই ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়। দীর্ঘক্ষণ পরে পুলিশ এসে আগের মতই অভিযোগ নথিভুক্ত হয়ে গেছে। এলাকায় নাকা পয়েন্ট থাকলেও পুলিশ সন্ধ্যার পর থানায় চলে যায়।
ফলে রাতের বেলা এই চুরির ঘটনা ঘটছে। রিক্সা, রিক্সার ব্যাটারি সহ বিভিন্ন সামগ্রী গত কয়েক মাসে এলাকায় চুরি হয়েছে। এ বিষয়গুলি পুলিশের কাছে অবগত করলে পুলিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রমাণ খুঁজে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল এলাকায় একটি লোহা বিক্রির দোকান রয়েছে। এই দোকানে নাকি চুরির সামগ্রী বিক্রি হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এবং গত দু’বছর আগে এলাকায় দোকানটি দেওয়ার পর থেকেই এ ধরনের চুরির ঘটনা বাড়ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। তাদের আরো অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় কিছু বখাটে যুবক নেশায় বুদ হয়ে থাকে। তাদের জন্যও হতে পারে এই ধরনের চুরির ঘটনা। পুলিশ যেহেতু তাদের দায়িত্ব পালন করছে না তাই শনিবার রাত থেকে ব্যবসায়ীরা নিজে দোকানে পাহারা দেবে বলে জানায় এদিন। চুরির ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ থেকে পুলিশ প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব প্রশ্নের মুখে।