স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : সামাজিক ভাতা গরিব মানুষের জন্য, কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য না। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সামাজিক ভাতা নিয়ে খবরের শিরোনামে বহুবার তথ্য প্রমাণ সহ গরিব মানুষের অভিযোগ প্রকাশিত হলেও কান দিয়ে জল ঢুকছে না এ সরকারের। এক প্রকার ভাবে এতটাই অমানবিক হয়ে গেছে যে ভুলে গেছে গরিব ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্যই সামাজিক ভাতা।
প্রতিবছর ওয়েব পোর্টালের সমস্যার দোহাই দিয়ে মাসের পর মাস গরিব মানুষের সামাজিক ভাতা আটকে রাখার ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে এই সরকারের আধিকারিকদের। এতে করে যাদের নুন আনতে পান্তা পোড়ার তাদের অবস্থা আরো বেশি কাহিল হয়ে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টা আগে হাজামারায় রাস্তায় বসে প্রবীনরা সামাজিক ভাতার জন্য চোখ দিয়ে জল ফেলেছে। এরই মধ্যে আবারো অভিযোগ তুলেছেন সামাজিক ভাতা নিয়ে এক চা বিক্রেতা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৫ টাকা করে চা বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করা কষ্টকর বলে ভাগ্যক্রমে জুটেছিল সামাজিক ভাতা। কিন্তু দপ্তরের গড়িমসিতে নিয়মিত মিলছে না সামাজিক ভাতা। ফলে কাঁপাকাঁপা হাত নিয়ে এখনো ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চা বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করতে হচ্ছে এক অসহায় বৃদ্ধকে। তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উড়ালপুলের ২৬ নং পিলারের নিচে বসে চা বিক্রি করে রবীন্দ্র গুপ। ৪০ নং ওয়ার্ড এলাকায় বাড়ি। এলাকার কাউন্সিলর শম্পা চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত জুটলো না ঘর। তবে তিনি এখনো অনিশ্চিত কবে নাগাদ সামাজিক ভাতা এবং ভাগ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর জুটবে।