স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জানুয়ারি : কাজ করে ভাগ্যে জুটছে না সৌভাগ্য যোজনার ঠিকাদারদের বকেয়া টাকা। শেষ পর্যন্ত বুধবার ঠিকাদারেরা অবশেষে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়। জানা যায়, সৌভাগ্য যোজনার বকেয়া টাকার জন্য ঠিকাদাররা প্রায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে দপ্তরের দরজায় দরজায় ঘুরছে। বুধবার ঠিকাদারেরা রাজধানীর ভূতরিয়া বিদ্যুৎ নিগমের প্রধান কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভে বসে।
তাদের অভিযোগ তিন বছর ধরে সৌভাগ্য যোজনার বিল নিয়ে শুধু আশ্বাসের পর আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু বকেয়া টাকা মিলছেনা। রাজ্যের প্রায় আড়াই শতাধিক ঠিকাদার এ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে বকেয়া টাকা না পেয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার মত অবস্থা। ঠিকেদারদের অভিযোগ সরকার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে দপ্তরের আধিকারিকেরা এ ধরনের হেনস্তা করছে ঠিকাদারদের। শেষ পর্যন্ত নিগমের প্রধান কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছে ঠিকাদারেরা। প্রায় ৬০ কোটি টাকা তাদের ব্যয় হয়েছে।
এখন নিগমের দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে। তাই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠিকাদারদের বুধবার দপ্তরে ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরের দীর্ঘক্ষন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম এস কেলের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত হয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ঠিকাদারেরা। এম এস কেলের সাথে কথা বলে বিক্ষোভকারী ঠিকাদারেরা জানান, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবে। কিন্তু ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এর আশ্বাসে তারা সন্তুষ্ট নয় বলে জানান। কারণ পূর্ব এভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও তারা টাকা পায় নি। কিন্তু যদি ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টাকা না পায় তাহলে পুনরায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান ঠিকাদারেরা। এ বিষয়ে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম এস কেলে জানান, বিদ্যুৎ নির্গমন চেষ্টা করছি দ্রুত ঠিকাদারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেই টাকা ঠিকাদারদের মিটিয়ে দেওয়া হবে।