স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ জুলাই : এবার অন্ধকারে ডুবল গোমতি জেলা হাসপাতাল। সোমবার সন্ধ্যায় এক পাশলা বৃষ্টিতে হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই ঘন্টা যাবত হাসপাতালে রোগী এবং রোগীর পরিবারদের মোম জ্বালিয়ে অসহ্য কর পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হয়েছে। এবং গোটা হাসপাতালে অন্ধকার নেমে আসে। হাসপাতালের এম এস থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা
এদিন কোন ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি রোগীদের। দোকান থেকে মোম কিনে প্রত্যেক রোগীর পরিবারকে এদিন টিম টিম আলোর মধ্যে বসে থাকতে হয়েছে। কিন্তু দুই থেকে আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ না আসার ফলে রোগীর পরিবারদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। রোগীর পরিবারের লোকজনেরা জানান দীর্ঘ ২ ঘন্টা ধরে নেই বিদ্যুৎ। দুই কদম পায়ে হেঁটে হাসপাতালে ভেতর চলার কোন ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী কারোর দেখা নেই। এর মধ্যে ভপসা গরমে হাঁসফাঁস ছুটছে রোগীর। আই সি ইউ এবং শিশু ওয়ার্ডের বহুরোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রোগীরা ছটফট করতে শুরু করে শয্যায়। হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে শেষ পর্যন্ত রোগীর পরিবার গিয়ে জানতে চায় ইনভার্টার চালানো হয়নি কেন।
কিন্তু তাদের মুখ থেকে কোন সদুক্ত পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে সারা রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিষেবা লাটে উঠেছে। মন্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কোন সদুত্তর দিতে পারছে না। এখন মানুষ হাসপাতালে গিয়ে পর্যন্ত এ ধরনের সমস্যা শিকার হচ্ছে। কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাবে চলছে বিদ্যুৎ নিগমের কতিপয় কর্মী। এর খবর রাখছে না শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকা বিদ্যুৎ মন্ত্রী।