স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জুলাই : সুশাসন জামানার নেত্রী গরিব মানুষকে পাত্তা দিচ্ছেন না। কোন উন্নয়নমূলক কাজের কথা বললে এলাকার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে দেখিয়ে দেন। কিন্তু বর্মনকে এলাকাবাসী কি কম চিনেন ? এই প্রশ্নটি তুলেছেন আগরতলা পুর নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর সান্তনা সাহার বিরুদ্ধে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বস্তিতে বসবাসরত অসহায় মানুষেরা। জনগণ দ্বারা জয়ী হয়ে এই দাম্ভিক কর্পোরেটর উন্নয়নের কাজ নিম্নমানের করে জনগণের টাকা গিলছেন বলে অভিযোগ।
তিনি ক্ষমতাসীন দলের কর্পোরেটর। এই কর্পোরেটরের স্বামী ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রাধানগর বস্তি এলাকায় একটি নর্দমা নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ নিয়ে স্থানীয়রা দুই নম্বরের অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ যে জায়গায় নর্দমার নির্মাণ কাজ চলছে সে জায়গায় মাটি দিয়ে তার উপর ইট বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রড বালির দেখা নেই। আর ইটের ধরনও একেবারে চার নম্বরি। টোকা দিলেই ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকাবাসীদের পাত্তাই দেননা কর্পোরেটর সান্তনা সাহা। কর্পোরেটর নাকি বলেন বস্তির মানুষের সঙ্গে তার কোন কথা নেই। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ বন্যা হলেই ইট গুলো বাড়ি ঘরে গিয়ে ঢুকবে।
তখন এর দায় নেবেকে। গুণগতমান বজায় রেখে এই নর্দমা নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করার দাবি জানান তারা। গণদেবতার রায়ে জয়ী হয়ে আগরতলা পুর নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটের নির্বাচিত হয়েছেন সান্তনা সাহা। হয়তো এই বিষয়টা তিনি ক্ষণিকের জন্য ভুলে যান। আর এই কারণেই বলেন বস্তিবাসীর সঙ্গে নাকি তিনি কথা বলতে চান না। একজন কর্পোরেটর হিসেবে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। গণদেবতাদের সেবার জন্যই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিষয়টাকে অবশ্যই তার মাথায় রাখা উচিত। আবার এটাও ঠিক সান্তনা সাহা যিনি কর্পোরেটর, তার স্বামী আবার করছেন দু নম্বরী ঠিকাদারী। লজ্জায় তিনিই বা কি বলতে পারেন। তবে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার স্বামীর কলঙ্ক থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এই কর্পোরেটর বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তবে শাসক দলের কিছু নেতা নেত্রী যে এভাবে নিজেদের খাই মেটাচ্ছে সেটা আরো একবার স্পষ্ট হয়ে গেল এদিন।