স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুলাই : ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রধান রেফালের হাসপাতালে। পরবর্তী সময় চিকিৎসকের কাছে ওষুধের নাম গোত্র জানতে চাইলে মৃতদেহ আটকে রাখে বলে অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর পরিজনদের। মৃত ব্যক্তির নাম সুজিত ঘোষ। বাড়ি রাজধানীর ধলেশ্বর এলাকায়। তার ছেলের অভিযোগ শুক্রবার সকালে তার বাবার কিছুটা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। সাথে সাথে নিয়ে আসা হয় জিবি হাসপাতালে।
হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক ভর্তি রাখেন। এবং একটি ইনজেকশন পুশ করে সুজিত ঘোষের শরীরে। তারপর আধ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় সুজিত ঘোষের। মৃত ব্যক্তির ছেলে মিঠুন ঘোষ মহিলা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কি ইনজেকশন পুশ করেছে সে বিষয়ে জানতে চায়। তাতে মহিলা চিকিৎসক তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। কিন্তু মিঠুন কথা না বাড়িয়ে তিনি মহিলা চিকিৎসকের কাছে প্রেসক্রাইব চায়। তখন মহিলা চিকিৎসক রোগীর প্রেসক্লাইব ও ওষুধপত্র ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে বলেন নতুন করে ওষুধ লিখে প্রেসক্রাইভ করে দেবেন বলে অভিযোগ। তারপর এর প্রতিবাদ করায় দাম্ভিক চিকিৎসক মৃতদেহ ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখে জিবি হাসপাতালে। মিঠুন শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে সে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে তার বাবার মৃতদেহ চায়।
কিন্তু তারপরও মৃতদেহ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসক জানিয়ে দেন লিখিতভাবে যদি ক্ষমা না চাওয়া হলে মৃতদেহ দেওয়া হবে না। কান্নায় ভেঙে পড়ে পিতৃহারা ছেলে মিঠুন। এই ঘটনায় পরবর্তী সময় ছুটে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের চিকিৎসকদের মানবিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান যে কতটা কার্যকর করছে সেটা আজকে আবার প্রমাণ মিলল এই ঘটনায়। একদিকে যেমন ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, অপরদিকে প্রতিবাদ করায় মৃতদেহ জবরদস্তি আটকে রাখার অভিযোগ। যাই হোক ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে যে অভিযোগ মৃতের পরিবারে পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে সেটা ভুল ধারণাও করতে পারে। সেটা প্রমাণ হবে তদন্তে। কিন্তু এভাবে মৃতদেহ আটকে রেখে এদিন চিকিৎসক কিসের পরিচয় দিতে চেয়েছেন সেটা এখন বড় প্রশ্ন? মৃত ব্যক্তির পরিবার গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মানুষের একমাত্র ভরসা এই প্রধান রেফারেল হাসপাতালের মধ্যে কি হচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে মানুষ কি ধরনের পরিস্থিতি সম্মুখীন হয় সেটা বাইরে থেকে বোঝা কষ্টকর। এভাবে প্রতিদিন আরো কত মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে গিয়ে হস্ত ন্যস্ত হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর পেছনে কি কারন রয়েছে তা জানা নেই সাধারণ মানুষের।