স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুলাই : পি.আর.টি.সি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলল এন.এস.ইউ.আই। ভুয়া কাগজের মধ্যেই স্বাক্ষর দিচ্ছেন মহাকুমার শাসক বলে অভিযোগ। তাই বৃহস্পতিবার এন.এস.ইউ.আই -র একটি প্রতিনিধি দল কড়া নাড়লো সদর মহকুমা শাসকের। সদর মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করে ডেপুটেশন প্রদান করে এন.এস.ইউ.আই -র রাজ্য সভাপতি সম্রাট রায় জানান, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রিপুরার জন্য রয়েছে ৭০০ টি শূন্যপদ। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রক নিয়োগের ক্ষেত্রে পি.আর.টি.সি বাধ্যতামূলক করেছে।
কিন্তু অন্য রাজ্যের চাকুরি পরীক্ষায় ফেল করে একই চাকরির জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে ভুয়া পি.আর.টি.সি করে ইন্টারভিউ দিতে আসছে বহু যুবক। অভিযোগ অন্যান্য রাজ্যের যুবক অর্থের বিনিময়ে ত্রিপুরার পি.আর.টি.সি করে এস.এস.সি -র জিডি ২০২২-২৩ সালের পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। এবং এর সংখ্যাটা হবে প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক। আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হবে মেডিকেল পরীক্ষা। যাদের এ ধরনের অবৈধ পি.আর.টি.সি সহ দরখাস্ত জমা পড়েছে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার এন.এস.ইউ.আই -র এক প্রতিনিধি দল সদর মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি। এদিন বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। উপেন্দ্র কুমার যাদব নামে এক যুবকের নথি তুলে ধরে বলেন সে বহিঃরাজ্যের চাকরির জন্য আবেদন করেছে আবার ত্রিপুরায়ও পি.আর.টি.সি বের করে আবেদন করেছে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক অফিস থেকে এই পি.আর.টি.সি তৈরি করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা না নেওয়া হলে মহকুমা শাসকের কার্যালয়েও তালা দিয়ে দেবে বলে হুশিয়ার দেন সম্রাট রায়।