স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি : শনিবার আচমকা পুলিশ শাসক দলের বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের মেয়ে অনিন্দিতা ভৌমিকের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু কোনোরকম অনুমতি ছাড়া পুলিশ যাওয়ায় অনিন্দিতা ভৌমিক পুলিশের কাছে জানতে চান কেন কি কারনে গিয়েছেন। কিন্তু সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত পুলিশ অনিন্দিতা ভৌমিকের বাড়ি থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে অনিন্দিতা ভৌমিক জানান কেন কি কারনে পুলিশ গিয়েছিল সেই বিষয়টি পুলিশ উল্লেখ করতে চাননি। এই দিন সকালবেলা পুলিশ ফোন করে থানায় যেতে বলেছিল অনিন্দিতা ভৌমিককে। না যাওয়ায় পুলিশ বাড়িতে হানা দিয়েছে। তবে কি কারণে পুলিশ থানায় ডেকেছে সেই বিষয়ে পুলিশ অবগত আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শাসক দলের বিধায়ক অরুণ ভৌমিকও। তিনি বলেন এখন ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এগুলি নেহাত অসভ্যতা।
উপরের কারোর হিংসে হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে। এবং তিনি বলেন আগে তিনি সমীর বর্মনকেও ছাড়েন নি। সুতরাং যারা হেনস্তা করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এবং পুলিশ কেন কি কারনে গিয়েছিলেন এবং হেনস্তা করছে সে বিষয়টিও জানতে পুলিশের সদর কার্যালয়ে যাবেন বলে জানান। কারণ এইগুলি হল অহেতুক হেনস্থা করা। একটি ক্ষমতাসীন দলের সক্রিয় নেতা তা ভুলে গেলে হবে না তাও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন বিধায়ক শ্রী ভৌমিক। তিনি বলেন উনার বড় মেয়ে অনিন্দিতা ভৌমিক টি এম সি -তে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ তিন বছর কর্মরত অবস্থায় ইনক্রিমেন্ট না পাওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। এর জন্য অনিন্দিতা ভৌমিককে সাসপেন্স পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যারা সাসপেন্ট করেছিল তাদের যোগ্যতা নেই সাসপেন্ড করার। কতগুলি বুড়ো বসিয়ে রাখা হয়েছে দপ্তরে বলে কটাক্ষ করেন বিধায়ক। বাম আমলে যারা সুযোগ নিয়েছিলেন তাদের এখনো বসিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নন্দন সরকার, টি রায় এবং স্বপন সাহা। কিন্তু অনিন্দিতা ভৌমিককে সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আর শুনানি আগামী ৩১ জানুয়ারি। আর এর জেরেই হেনস্থা করা হচ্ছে কিনা দ্বন্দ্বে তিনি।