Saturday, January 25, 2025
বাড়িরাজ্যবিধানসভায় কণ্ঠরোধ নিয়ে তোপ দাগলেন জিতেন

বিধানসভায় কণ্ঠরোধ নিয়ে তোপ দাগলেন জিতেন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুলাই : যীষ্ণু দেববর্মা পাঁচ বছর অর্থমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিয়েছেন। যার কারণে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ৪০ শতাংশ ভোটে এসে নামতে হয়েছে। তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে রাজ্যের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গণ ডেপুটেশন দিতে গিয়ে বিধানসভা অভিযান থেকে এই কথা বলেন সি পি আই এম – এর পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সামনে থেকে বিধানসভা অভিযান সংঘটিত করে ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ, ত্রিপুরা ক্ষেত মজদুর ইউনিয়ন এবং সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটি। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার, সি.পি.আই.এম দলের পরিষদীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রাজধানীর উত্তর গেইট এলাকায় পৌঁছাতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে এক পথ সভার আয়োজন করা হয়। এই পথসভায় দাঁড়িয়ে সরকারকে আক্রমণ করলেন সিপিআইএম পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, পবিত্র বিধানসভায় তোলা হয়েছে রেগা মজুরি বৃদ্ধি করা, কৃষকদের বীজ এবং সার দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। কারণ এডিসি -তে স্কুল চলছে না, মৃত্যুর মিছিল চলছে। কাজ নেই, মানুষকে অনাহার থাকতে হচ্ছে। তখন বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন বিরোধী বেঞ্চের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এটাই ভারতীয় জনতার পার্টির চরিত্র বললেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন বামফ্রন্ট সরকারের সময় কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত অর্থ না পেয়েও তৎকালীন সরকার স্বাস্থ্য, কৃষি এবং শিক্ষা দিতে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এবং সুশাসন দ্বারা এক বিকাশের সরকার চলছিল রাজ্যে। কিন্তু বর্তমানে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা মানবসম্পদ শোষণ করে চলেছে।

গত দুবছর ত্রিপুরা রাজ্যে কিভাবে ধ্বংসলীলা হয়েছে সেটা রাজ্যবাসী জানে। গত বিধানসভা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের গোপন সমঝোতায় বিরোধী ভোট ভাগাভাগি কারণে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এই বিজেপি পরিচালিত হয় আর.এস.এস -এর নির্দেশে। আর.এস.এস হলো যারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে ছুরি মেরেছে। এবং ইংরেজদের দালালি করত। তাই এই আর.এস.এস পরিচালিত বিজেপি সরকারের কাছে উন্নয়ন এবং বিকাশ আশা করা ভুল হবে। কারণ সরকারের আচার-আচরণে এরই প্রতিফলন ঘটে। এবং এ সরকারের সমালোচনা করে জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন বুধবার বিধানসভায় তিপ্রা মথার এক বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যে কয়টি বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে একজন শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা হচ্ছে। এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন একটি স্কুলও এমন নেই যে একজন শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা হচ্ছে। তখন শাসক দলে বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা বলেন উনার এলাকায় নাকি ১৭ টি প্রাইমারি এবং এসবি স্কুল একজন শিক্ষক দ্বারাই পরিচালনা হচ্ছে। তখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এর জবাবে বলেন এটা তো এডিসি এলাকায়। তাহলে প্রশ্ন এডিসি কি ত্রিপুরা রাজ্যের বাইরে? এডিসি ছাড়া স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্য হয়নি। আর এটাই বিজেপি ও আইপিএফটি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বলে দাবি করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। পরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কাজ ও খাদ্য সহ ১৫ দফা দাবিতে একটি গণ ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের নেতা রাধা চরণ দেববর্মা, সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য