স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জুলাই : লাগাতার অভিযোগের পর মহারাজগঞ্জ বাজারের সবজির পাইকারি মূল্য খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সদর মহকুমা শাসক এবং খাদ্য দপ্তর অভিযানে যায়। মহারাজগঞ্জ সব্জি বাজার ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় তারা।
গত কয়েক দিনে লাফিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। তার জেরে বাজারে গিয়ে ব্যাজার মুখে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ। আদার কেজি ৩০০ টাকা। ঝিঙে, পটল, বেগুনের ৮০ থেকে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। শসা বিকোচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা লঙ্কা প্রতি কেজির দাম ৪০০ টাকা। টমেটো এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি সব কিছুরই দাম গত এক মাসের তুলনা অনেক বেশি বেড়েছে। এই অবস্থায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা সাধারনের। তবে লঙ্কার মূল্যের ছেঁকা সামাল দিতেই নাজেহাল ক্রেতারা। লাগামহীন ভাবে বাজার গুলিতে আনাজের দাম বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। এই অবস্থায় এদিন মহারাজগঞ্জ বাজারের সব্জি বাজার ও পাইকারি বাজারে অভিযান যায় সদর মহাকুমা শাসক ও খাদ্য দপ্তরের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম যৌথভাবে। সব্জি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকানে আনাজের দাম সম্পর্কে অবগত হন তারা। মূলত আলু, পেঁয়াজ, কাচালঙ্কা, টমেটোর দাম জানতে চান। এছাড়া দুটি মুদীর দোকানেও অভিযান চালায় দলটি। তাদের নজরে আসে অংসগতি।
একটি দোকানে ওজন পরিমাপের বাটখারা গুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ। আচার ও তেলের প্যাকেট গুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। নেই ফুড লাইসেন্স। তাই দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান সাবডিভিশনাল ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক । তিনি আরো জানান বাজারে আনাজের দাম কিছুটা কমেছে। সমস্ত সামগ্রী বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কোন ঘাটতি নেই। টমেটো পাইকারি ৮০ টাকা দরে এবং খুচরা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাচালঙ্কা ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো একশ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। যোগান কম থাকার কারনে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে অভিযান কারী দলকে জানায় বিক্রেতারা। বাজার কমিটি এই ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান অভিজানকারী দলের সদস্য । তবে কি কারনে কাচালঙ্কা সহ আনাজের দাম বাজারে উর্ধমুখী হল এবং কবে নাগাদ কমতে পারে সেই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারেন নি সাবডিভিশনাল ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক। এদিনের অভিযানে বাজারের একটি মিষ্টির দোকানে কমার্শিয়াল গ্যাস সিলিন্ডারের পরিবর্তে ডোমেস্টিক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করায় তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। একই সঙ্গে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন সাবডিভিশনাল ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক । অভিযানকারী দলের সদস্যরা বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করলেও সবজির মূল্য যে উর্ধমুখী তা কিন্তু বাজারে পা রাখলেই স্পষ্ট। এই ক্ষেত্রে ধারাবাহিক নজরদারির প্রয়োজন বলে দাবি জানান ক্রেতারা।