স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুলাই : আগামী দিনে সাউথ ইষ্ট এশিয়ার প্রবেশ দ্বার হবে ত্রিপুরা। পাল্টে যাবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের চেহারা। বাড়ছে ব্যবসা। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার মাধ্যমে ১০ লক্ষ কৃষকের জন্য প্রিমিয়াম বাবদ সরকার ২০ কোটি ৮০ লক্ষ প্রদান করছে। ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কৃসককে কৃষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। ভারতবর্ষের অর্থনীতির মূল ভীত দারিয়ে রয়েছে কৃষির উপর।
তাই কৃষি ও উদ্যান বিদ্যায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। সোমবার প্রজ্ঞাভবনে জাতীয় ক্রেতা ও বিক্রেতা সম্মেলনের সূচনা করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। কৃষি ও খাদ্য পক্রিয়া করণ মন্ত্রকের এবং উদ্যান বিদ্যা ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনের তিনি বলেন, রাজ্যের আবহাওয়া কৃষি কাজের জন্য উপযুক্ত। এখানে ১২ হাজার হেক্টর জায়গায় ফল চাস হচ্ছে। সেইভাবে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৬ হাজার হেক্টর জায়গায় সব্জি চাষ হচ্ছে। রাজ্যের আনারস ও অন্যান্য ফল বিদেশে যাচ্ছে। বিদেশে যাওয়ার জন্য ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউস নির্মাণ করা হয়েছে রাজ্যে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
১১৬৩ হেক্টর এলাকায় ফুল চাষ হচ্ছে। ৪১৯ টি বিদেশী ফুল চাষ করা হচ্ছে রাজ্যে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্যের উৎপাদিত ফল ও অন্যান্য সামগ্রীর প্রদর্শন করা হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। সিপাহীজলা জেলাতে ২৫ লক্ষ উন্নত মানের সব্জি চারা তৈরি করে বিতরণ করেছে দপ্তর। কৃষি ও গ্যাসকে ভিত্তিকে করে রাজ্যে প্রচুর শিল্প স্থাপন সম্ভব। বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে রাজ্য সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা। বর্তমানে রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৮২২ টাকা। জায়গায় খোলা হচ্ছে কৃষক বন্ধু কেন্দ্র। তিনি আরো বলেন, কৃষি ও উদ্যান বিদ্যায় বীজ সম্পর্কে হয় এই সম্মেলন। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় , এপিডিইএ- ডিজিএম সুনিতা রাই সহ অন্যান্যরা। পরে প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত ত্রিপুরায় উৎপাদিত ফলের এক প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা।