স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৯ জুন : প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের হাত ধরে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কোর্সিতে বসলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহার হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে এদিন শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে সুদীপ এবং আশীষ যখন কংগ্রেসের ফিরেছিলেন তখন থেকেই দুজনের মধ্যে কেউ হতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
ধীরে ধীরে সেই গুঞ্জনের অক্সিজেন মাত্রা কমতে থাকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের তিন মাস পর আচমকা শনিবার রাতে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস হিসেবে ঘোষণা হয় আশীষ কুমার সাহার নাম। তারপর থেকে কংগ্রেসের দুর্দিনের সাথী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার কোন প্রতিক্রিয়া নেই, নেই দেখা। যাইহোক দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটার পর সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে দেখা গেল নয়া চিত্র। বাপ বেটার হাত ধরেই আসনে বসে আশীষ কুমার সাহা বিজেপির বিরুদ্ধে কামান দাগেন।
তিনি বলেন গত ১৭ জুন শান্তিরবাজার বিজেপির এক সমাবেশে কংগ্রেসকে দুর্নীতিবাজ বলে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শ্রী সাহা বলেন, দেশের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষও বহু কিছু উৎসর্গ করেছে। আর নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশকে পুঁজিপতিদের কাছে উৎসর্গ করে কাঙ্গাল করে দিচ্ছে দেশ। এখন আবার তাদের রাষ্ট্রীয় সভাপতি ত্রিপুরায় এসে বলছে কংগ্রেসকে দুর্নীতিবাজ বলছেন। কিন্তু বিজেপি যে কর্মযজ্ঞ করছে তার জবাব পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধী চাইলে তারা দিতে পারছেন না। যার কারণে তারা রাহুল গান্ধীকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু দিল্লির নেতৃত্বাধীন সরকারের কারণে রাজ্যে চলছে স্বৈরাচারী শাসন। মন্ত্রী, বিধায়করা এখন সেই দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। মানুষ তাদের দেখলে পার্সেন্টেজ হিসেবে ডাকাডাকি করে। এবং যে যত পার্সেন্টেজ দুর্নীতি করেছে সেই সকল বিধায়ককে বা মন্ত্রীকে তত পার্সেন্টেজ হিসেবে ডাকা হয়। এখন রাজ্যের জনমত বিজেপির পাশে আর নেই। আগামী ২০২৪ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি আসন কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে উপহার দেবে বলে সংকল্প নেন নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। তিনি আরো বলেন, যারা ২০১৮ সালের আগে এবং পরে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে আগামী দিনে রাজ্যের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে তারা যাতে কংগ্রেসে আবার এসে যোগদান করেন।