Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যথানার দরজায় দরজায় ঘুরে চোখের জল ফেলছে ভিটেমাটি হারা ৭০ উর্ধ্ব বাবা

থানার দরজায় দরজায় ঘুরে চোখের জল ফেলছে ভিটেমাটি হারা ৭০ উর্ধ্ব বাবা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুন : দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেওয়া জগদ্ধাত্রী মা ভিটেমাটি হারা। সঙ্গে সত্তর উর্ধ্ব বাবাও।ছেলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ঠিকানা নেই আজ তাদের। কিন্তু ভিটে মাটিতে ফিরে যেতে চায় অসহায় বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। অমানবিক পুলিশ। উল্লেখ্য, নিজের বসত বাড়িতে জায়গা মিলছে না সত্তর উর্ধ্ব অসহায় পিতা মাতার। বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিতে হয় মেয়ের বাড়িতে। সেখানে গিয়েও রেহাই পেল না। হামলার শিকার হয় কুলাঙ্গা ছেলের হাতে।

কুলাঙ্গার ছেলের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া মহিলা থানায় মামলা করার পরেও সেই মামলা নথিভুক্ত করে নি মহিলা থানার পুলিশ। অসহায় বৃদ্ধা মা পরবর্তী সময়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে শেষ পর্যন্ত আদালতের দাবড়ানি খেয়ে মামলা নথিভুক্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ। বিষয় সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে নিজ হাতে গড়া ভিটেমাটি ছাড়া বৃদ্ধ খোকন ভৌমিক সহ তার স্ত্রী কানন ভৌমিক। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড়ো ছেলে নরেশ ভৌমিকের দাবি সব সম্পত্তি তাকে দিতে হবে। এই সম্পত্তি বড়ো ছেলে নরেশকে না দেওয়ার ফলে জন্মদাত্রী মা ও বাবার উপর বার বার হামলা চালিয়ে, ঘর ছাড়া করে দেখাল পাষন্ড ছেলে নরেশ। নিরুপায় হয়ে ছোট মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় বৃদ্ধ খোকন ও বৃদ্ধা কাননকে। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা সাক্ষী রইলো বিলোনিয়া থানাধীন পুরান মতাই এক ওয়ার্ড এলাকা। জানা যায়, ঋষ্যমুখ ব্লকের নলুয়া এলাকার পুরানো ভিটেমাটি বিক্রি করে , পুরাতন মতাই এক নং ওয়ার্ডে জায়গা কিনে বাড়ি ঘর তৈরি করে খোকন ভৌমিক। বড় ছেলে নরেশ বিদেশ থাকতেন বিদেশে। বিদেশ থেকে আসার পর ছেলেকে বিয়ে করায়। তারপর থেকেই মা-বাবার উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে দেয় পাষন্ড নরেশ বলে অভিযোগ। 

 প্রতিনিয়ত বৃদ্ধ মা বাবাকে চাপ দিতে থাকেন সমস্ত সম্পত্তি  লিখে দেওয়ার জন্য। শুধুমাত্র বড়ো ছেলে নরেশ নয় , নরেশের স্ত্রী পর্যন্ত হুমকি দেয় নরেশের নামে সম্পত্তি লিখে না দিয়ে বাড়ি ছেড়ে গেলে শ্লীললতাহানির মামলা দায়ের করবে। শেষ পর্যন্ত গত মার্চ মাসে বিলোনিয়া মহিলা থানায় মামলা করেন ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মা। কিন্তু বিলোনিয়া মহিলা থানার অপদার্থ পুলিশ মামলা নথিভুক্তই করেনি এমনই অভিযোগ। অবশেষে গত ৭ জুন বিলোনিয়া আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে  মামলা করেন। তখন আদালতের চাপে পরে মামলা নথিভুক্ত করতে বাধ্য হয় বিলোনিয়া মহিলা থানা পুলিশ। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রেজিস্ট্রি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করছে না। অবশেষে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে দাবী জানান তাদের ভিটে মাটিতে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে। কারণ গত দশ মাস ধরে বৃদ্ধ পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে  দিন কাটাচ্ছেন। নিজ বাড়িতে কোন অবস্থাতেই ঢুকতে পারছেন না।  অসহায় মা বাবার দাবি প্রশাসন যাতে তাদের নিরাপত্তা দেয় এবং জীবনের শেষ সময়টুকু যাতে নিজের দিকে মাটিতে থাকতে পারে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য