স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুন : ১৪ দিন বয়সী শিশুর জটিল অস্ত্রপচার করে নয়া নজির গড়লেন রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাসপাতালের এমএস সঞ্জীব দেববর্মা জানান খোয়াই হাসপাতালে ২৫ মে একটি শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেন শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ধীরে ধীরে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।
তারপর সেদিন রাতেই শিশুটিকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। জিবি হাসপাতালের শিশু বিভাগের আইসিইউ-তে রেখে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করা হয়। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর দেখা যায় শিশুর হার্টের সমস্যা রয়েছে। যার জন্য অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার পরও শিশুর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। তখন হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার রাকেশ দাস ও কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার অনন্য সুন্দর ত্রিবেদিকে ডাকা হয়। তারা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আসল সমস্যা চিহ্নিত করেন। কিন্তু শিশুর অবস্থা এমন ছিল যে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তখন কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার রাকেশ দাস ও কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার অনন্য সুন্দর ত্রিবেদি সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন শিশুটির জটিল অস্ত্রপচার করার বিষয়ে।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩ জুন শিশুটির জটিল অস্ত্রপচার করা হয়। কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার রাকেশ দাস ও কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার অনন্য সুন্দর ত্রিবেদি এবং তাদের টিম দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা সময় লাগিয়ে এই সফল জটিল অস্ত্রপচার করেন বলে জানান হাসপাতালের এমএস সঞ্জিত দেববর্মা। অস্ত্রপচারের পর বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। এইদিকে কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার অনন্য সুন্দর ত্রিবেদি জানান এই ধরনের অস্ত্রপচার জিবি হাসপাতালে প্রথমবার হয়েছে। যেহেতু শিশুর ওজন কম ছিল তাই অস্ত্র পচার করা জটিল বিষয় ছিল। তিনি আরও জানান প্রাথমিক ভাবে শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য এই জটিল অস্ত্রপচার করা হয়েছে। তবে এতে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। শিশুটির বয়স দুই থেকে আড়াই বছর হয়ে গেলে শিশুটির আরও একটি অস্ত্রপচার করতে হবে। তারপর সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান সফল অস্ত্রপচারের পর বর্তমানে হাসপাতালের শিশু বিভাগের জেনারেল ব্যাডে শিশুটিকে রাখা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কয়েকদিন পর শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া যাবে। এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলন জিবি হাসপাতালের এমএস সঞ্জীব দেববর্মা, কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার অনন্য সুন্দর ত্রিবেদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার রাকেশ দাস, হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ডাক্তার সুজিত চক্রবর্তী, ডাক্তার শ্রীবাস দাস সহ অন্যান্যরা।