স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জুন : শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা লংঘন করে পাইভেট টিউশন করার অভিযোগে সাব্রুমের ৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগামী ৭ জুন সাব্রুম মহকুমা শাসকের কাছে সশরীর হাজির হওয়ার জন্য কারন দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বিলোনিয়া মহকুমা ২২ জন শিক্ষককে আগামী ৭ জুন সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে সশরীর উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট ২৮ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে শিক্ষা দপ্তর।
এই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আদালতে নির্দেশ অগ্রাহ্য করে এবং শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ লংঘন করে দেদার প্রাইভেট টিউশন করে চলেছেন। এই শিক্ষকদের বহুবার শিক্ষা দপ্তর থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই তারা তোয়াক্কা করছে না সরকারি নির্দেশিকা। বিগত মাসে শিক্ষা দপ্তর থেকে ধর পাকড়ের করে নির্দেশ বের হওয়ার পরেও তাদের হুঁশ জ্ঞান ফিরে নি। শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নির্দেশিকায় জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যারা এভাবে প্রাইভেট টিউশন করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। ইতিমধ্যে যে শিক্ষকদের নাম সামনে এসেছে তারা হলেন পশ্চিম কলাবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় পাটারি, রাধানগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন কর, রাজনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবীন্দ্র দাস, পাইখোলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশিস পাল, বিলোনিয়া বি কে আই স্কুলের শিক্ষকগণ রঞ্জন সূত্রধর এবং অভিজিৎ সরকার, বিলোনিয়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষকগণ কল্লোল বৈদ্য, সাধন দাস এবং মিহির সাহা, এসবিসি নগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ দেবনাথ, আর্য কলোনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ জগন্নাথ ভৌমিক এবং শিবেস বিশ্বাস, বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুবল দেবনাথ, চিলা পাথর মাধ্যমিক স্কুলের ঝুমুর কান্তি সূত্রধর, জয়পুর মাধ্যমিক স্কুলের টোটন নাহা, আনন্দপুর এসবি স্কুলের নিত্যানন্দ আচার্যী, ছিলাছড়ি এসবি স্কুলের উদ্বব দত্ত, উত্তর বিলোনিয়া মাধ্যমিক স্কুলের অর্জুন সাহা, দেবীপুর মাধ্যমিক স্কুলের অজিত দাস, পূর্ব মির্জাপুর মাধ্যমিক স্কুলের উত্তম বিশ্বাস সহ নারায়ন দাস এবং ঝোটন লস্কর নামে অন্য দুই স্কুলের শিক্ষকগণ রয়েছে।
এদিকে সাব্রুম মহকুমা হরিনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন পাল, মনু বনকুল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন সরকার, কিল্লা বল্লভপাড়া এস বি স্কুলের শিক্ষক নন্দন কর, হরিণা স্কুলের শিক্ষক প্রতাপ দেবনাথ, চরণ দাস আর পি এস বি স্কুলের শিক্ষক পালবন চক্রবর্তী এবং বুড়াতলি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপঙ্কর সরকার। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট টিউশনি করে সঠিক সময়ের মতো স্কুলের যাতায়াত করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ী মাঠে নেমেছে জেলার শিক্ষা আধিকারিকরা। এবং বহু শিক্ষক শিক্ষিকা এভাবে প্রাইভেট টিউশন করে চলেছে বলে নজরে উঠে আসছে। আরো লক্ষ্য করা যাচ্ছে বহু শিক্ষক বিগত দিনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ এলাকার কোন যুবকের কাছে দিয়ে কমিশন গ্রহণ করছেন। তাদের নামও দ্রুত সামনে আনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা শিক্ষা আধিকারিকেরা।