স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ মে : শিক্ষকের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরেনি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী। অভিযোগ যাত্রাপুর থানার অন্তর্গত নিদয়া কাচি গ্যাংটি এলাকা থেকে রবিবার অপহরণ হয়েছে ছাত্রীটি।অভিযোগের তীর হান্নান মিঞা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মেলাঘর থানার অন্তর্গত তেল কাজলা এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানারা বেগমের ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে অন্যান্য দিনের মতো গত রবিবার প্রাইভেট টিউশন সেরে বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণ হয়েছে। যাত্রাপুর থানার অন্তর্গত নিদয়া কাচি গাং টিলা এলাকার মনসুর আলীর ছেলে হান্নান মিঞা নাবালিকা মেয়েটিকে জোরপূর্বক গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জানা গেছে অপহরণকারী হান্নান মিঞা বেশ কয়েকবার ওই নাবালিকা মেয়েটির মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা মেয়েটির পরিবার।
আরো জানা গেছে হান্নান মিঞার দুই স্ত্রী রয়েছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাবালিকা মেয়েটিকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় হান্নান মিঞা। সে দিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও নাবালিকা মেয়েটি ঘরে ফিরে না আসায় তার মায়ের মনে সন্দেহ জাগে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও নাবালিকা মেয়েটির কোন খোঁজ পায় নি। পরে জানতে পারে হান্নান মিঞা নামে এক যুবক মেয়েকে অপহরণ করে গাড়ি দিয়ে নিয়ে গেছে। অবশেষে নাবালিকা মেয়েটির মা মঙ্গলবার মেলাঘর থানায় অভিযুক্ত হান্নান মিঞার বিরুদ্ধে লিখিত অপহরণের মামলা দায়ের করেন। নাবালিকা মেয়েটির মা জানিয়েছেন হান্নান মিঞার বাড়িতে নাবালিকা মেয়েটিকে জোরপূর্বক আটকে রেখেছে। এদিকে মেলাঘর থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য যাত্রাপুর থানায় খবর পাঠায়, কিন্তু মামলা করার দীর্ঘক্ষণ অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও যাত্রাপুর থানার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। নাবালিকা অপহরনের ঘটনার খবর পেয়ে শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্য শর্মিলা চৌধুরী নাবালিকা মেয়েটির বাড়িতে ছুটে যান। মেয়েটির মায়ের সাথে কথা বলেন। এবং পরে অপহরণের ঘটনায় পুলিশ কি ভূমিকা গ্রহণ করেছে তা জানার জন্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্য শর্মিলা চৌধুরী মেলাঘর থানায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের সাথেও কথা বলেন। তবে বুধবার খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এলাকা জুড়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।