Saturday, April 20, 2024
বাড়িরাজ্যধর্মঘট সমর্থন করবে রাজ্যের কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন : পবিত্র

ধর্মঘট সমর্থন করবে রাজ্যের কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন : পবিত্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি : আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দেশের ১৩ টি ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘট ডাক দিয়েছে। কারণ দেশের সরকার শ্রমিকদের ৪৪ টি শ্রম কোড ৪ টি কোডে পরিণত করেছে। আর এরই প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠন এই ধর্মঘট সমর্থন করবে। দেশে কৃষক সংগঠনগুলির এ সময় গ্রাম বনধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 এর সমর্থনে আগামী ৮ জানুয়ারি সি আই টি ইউ রাজ্য ট্রেড ইউনিয়নগুলি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে কনভেনশন সংঘটিত করবে। সেই কনভেনশনে রাজ্যের কৃষক এবং ক্ষেতমজুর সংগঠনের নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করে ধর্মঘটের জন্য পাচার আন্দোলন করবে। বৃহস্পতিবার সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। তিনি বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকদের অবস্থা দুর্বিষহ। গত দু’মাস আগে অকাল বর্ষণে কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছে এর কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দিয়ে দরখাস্ত করে সুপারেনটেনডেন্ট এগ্রিকালচার এবং সেক্টর অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।

 পৌষ সংক্রান্তি পর প্রত্যেক জেলার কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বদের নিয়ে আলোচনা করে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন, সরকার সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছ থেকে এফ সি আই -র মাধ্যমে ধান ক্রয় করছে না। ধান যাতে সঠিক সময়ে কেনা হয় তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে। এবং রাজ্যে যাতে ধান ক্রয় করার সেন্টার আরো বাড়ানো হয় তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে উপজাতি এলাকাগুলোতে ধান ক্রয় করার সেন্টার বসানোর জন্য। কারণ কৃষকরা দূরদূরান্ত থেকে গাড়ি ভাড়া করে ধান সেন্টারে নিয়ে আসতে গিয়ে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। লাভের মুখ দেখছে না কৃষকরা। তাই সঠিক সময়ে ধান ক্রয় করার পাশাপাশি ধান ক্রয় করার সেন্টার যাতে বৃদ্ধি করা হয় তার দাবি জানান হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে ২ লক্ষ ৩৩ হাজার কৃষক রাজ্যে উপকৃত হয়েছে বলে বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যের প্রকৃত কৃষক রয়েছে সাড়ে চার লক্ষাধিক। যা সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে মন্ডল থেকে নাম বাছাই করে এই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন গত সাড়ে তিন বছরে কৃষকদের যে অসহায় অবস্থা তাতে রাজ্যে প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে। পৌষ সংক্রান্তির পর স্থানীয় ভাবে গন ডেপুটেশন দেওয়া হবে ব্লক অফিস এবং কৃষি অফিস গুলিতে। পরবর্তী সময়ে মহকুমার জেলাস্তরে বড় জমায়েত করা হবে জানান পবিত্র কর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য