Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যটিঙ্কু রায়ের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁস করলেন মথার বিজিত প্রার্থী

টিঙ্কু রায়ের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁস করলেন মথার বিজিত প্রার্থী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ মে : মন্ত্রী টিঙ্কু রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সামনে নিয়ে এলেন তিপ্রা মথার বিজিত প্রার্থী রঞ্জন সিনহা। তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজিতা প্রার্থী ছিলেন। তিনি আগরতলা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়।

এবং মনোনয়ন পত্রের সাথে হলফনামা দাখিল করতে হয়। হলফনামায় প্রার্থীর বিস্তারিত বিবরণ যেমন, সম্পত্তির হিসাব, আয়কর, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি প্রকাশ করতে হয়। সেই অনুসারে বিগত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন- ২০২৩ ঊনকোটি জেলার ৫২-চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী টিঙ্কু রায় ২৬-এ হলফনামা জমা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে একজন বিধায়ক এবং মন্ত্রী। মনোনয়নপত্রে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্য তথ্য গোপন করে একটি ভুয়ো সংস্থা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে এসে জমা দিয়েছেন। মন্ত্রী দাবি করেছেন তিনি ২১ বছর বয়সে ২০০৪ সালে ‘বোর্ড অব সেকেন্ডারী এডুকেশন, মধ্যভারত গোয়ালিয়র দ্বাদশ শ্রেণী পরীক্ষা পাস করেছিলেন। যা বাস্তবে অস্বাভাবিক এবং অবিশ্বাস্য। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩০-এ ধারার হলফনামা ফর্ম-২৬ এ তাঁর দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ “বোর্ড অব সেকেন্ডারী এডুকেশন, মধ্যভারত গোয়ালিয়র নামে এমন কোন মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নেই, যা ভারত সরকার দ্বারা গঠিত কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ দপ্তর, নতুন দিল্লি দ্বারা স্বীকৃত এবং অনুমোদিত।

তিনি আরো বলেন, টিঙ্কু রায়, সত্য তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করার জন্য কারাবাস যোগ্য শাস্তির অপরাধী। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে হলফনামায় মিথ্যা এবং জাল তথ্য প্রদানের জন্য একজন বিধায়ক ও মন্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণ অযোগ্য। দ্বিতীয়ত টিঙ্কু রায় আরেকটি তথ্য গোপন করলেন যা অত্যন্ত মারাত্মক। টিঙ্কু রায়ের নামে আদালতে একটি ফৌজদারি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। যা তিনি মনোনয়নপত্রের উল্লেখিত হলফনামায় বেমালুম অস্বীকার করে গেছেন। ২০২১ সাড়ে ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিম আগরতলা থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই সমস্ত তথ্য গত ২৬ জানুয়ারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদনে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছিল, কিন্তু রিটার্নিং অফিসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তুলেন রঞ্জন সিনহা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য