স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মে : গণধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হলো বাম নারী ছাত্র এবং যুব সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক নারী সমিতি, এস এফ আই এবং ডি ওয়াই এফ আই যৌথভাবে পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়। গণধর্ষণের ঘটনার জন্য বাম সংগঠনগুলি সরাসরি পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে এদিন। গণতান্ত্রিক নারী সমিতির নেত্রী রমা দাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবাদের ভাষা উগড়ে দেন। তিনি বলেন, গত সোমবার রাম ঠাকুর কলেজের ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চারজন মিলে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আগরতলা বাইপাস এলাকায়।
এই ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তিনি বর্তমান সরকারের জামানার তীব্র নিন্দা করে বলেন ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শত শত নারী ইজ্জত সম্মান ত্রিপুরা রাজ্যে লুন্ঠিত হয়েছে। এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে বাম নারী সংগঠন বহুবার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিকদের নজরে নিয়েছেন। দাবি করা হয়েছে যাতে ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা গেল কোন প্রতিকার নেই। বিচার বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন ত্রিপুরায় আর কোনভাবে সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু ত্রিপুরায় নারীদের উপর কিভাবে অমানবিক ঘটনা ঘটছে তা কি বরদাস্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেন রমা দাস।
কিন্তু এখন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে কোন শব্দ উচ্চারণ হয় নি। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্যে দাবি একটাই নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এবং এই দূষিত পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসতে পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় এদিন। পাশাপাশি বিভিন্ন মহকুমা থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নারীদের সুরক্ষার দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে বলে জানান রমা দাস। পরবর্তী সময়ে পুলিশের তৎপরতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।