স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে :অন্যান্য বছরে মতো এবছরও ২৫ শে বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করা হয়। এ বছর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মূল অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্র কাননে। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। তারপর তিনি বক্তব্য রেখে বলেন, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ঐতিহ্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তুলে ধরেছেন। কৃষ্টি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশ প্রেম চেতনা থেকে শুরু করে সব কিছু মধ্যে জড়িয়ে আছেন।
এবং মানুষ যখনই সংকটের মুখে পড়েছে তখনই কবিগুরু সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কবিতা সাহিত্য উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ সব ক্ষেত্রেই আমাদের মার্গদর্শন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হন। তাঁকে ভারতবর্ষের সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক বলা চলে। কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ছাড়া কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তিনি সব কিছুতেই বিরাজমান রয়েছে। তাই কবিগুরুর অবদান দেশবাসী ভোলার নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ত্রিপুরার সাথে রাজন্য আমল থেকেই কবিগুরুর এক বিশেষ সম্পর্ক ছিল। এবং মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত ভাস্কর উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। এবং এই কবিগুরুর সৃষ্টি রাজর্ষি মুকুট বারবার ত্রিপুরার রাজন্য আমলকে মনে করিয়ে দেয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন রবীন্দ্র কাননে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব জে কে সিনহা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক।