Sunday, January 26, 2025
বাড়িরাজ্যআন্দোলনে নামবে বাম কর্মচারী সংগঠন

আন্দোলনে নামবে বাম কর্মচারী সংগঠন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের মদত স্পষ্ট একদল সমাজ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাস করছে। এই সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীরা। অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। গোটা রাজ্যে চলছে এক জঙ্গলে রাজত্ব।

 মঙ্গলবার মেলারমাঠ স্থিত সমন্বয় ভবনে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বল। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি কল্যাণপুর শাখা অফিসটি শাসক দলের দুর্বৃত্তরা জবরদখল করে নেয়। এবং উদয়পুর বিভাগীয় অফিসটিও শাসক দলের দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করে। ছৈলেংটা শাখা অফিসটি আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। ধর্মনগর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লিজ নেওয়া জমির উপর ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী সমিতি নিজেদের অর্থ ব্যয় করে পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পর গত ২২ এপ্রিল অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, জেলা শাসক ও কালেক্টরের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে দখল করে প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র সরকারিভাবে চালু করা হয়। ফলে সরকারি প্রশাসনের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। দিকে দিকে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার জন্য প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন রেহাই পাচ্ছে না সরকারি কর্মচারীরা। ধর্মনগরেই নিজ অফিসে আক্রান্ত হন একজন পুর কর্মচারি, একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, একজন মহিলা করনিক। কৃষি দপ্তরের উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের উত্তর জেলা অফিসের করনিক, ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারি সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য জয়দীপ দেবনাথ অসুস্থতা জানিয়ে ছুটি কাটিয়ে গত ২ মে মঙ্গলবার কাজে যোগ দিলে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা তাকে কোন করে ডেকে নিয়ে যায় চন্দ্রপুরের একটি ক্লাবে। সেখানে তাকে প্রচণ্ড ভাবে মারপিট করে মারাত্মক ভাবে আহত করে।

আহত অবস্থায় অফিসে ফিরে এলে ঐ সমাজদ্রোহীরা এসে তাকে হুমকি দেয়, ১ লক্ষ টাকা না দিলে তাকে ধর্মনগরে অফিস করতে দেওয়া হবে না। বেসরকারি বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষককে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। কমলপুরে একজন শিক্ষিকার বাড়িতে আগুন ধরানোর চেষ্টা হয়। উদয়পুরে ৩ জন শিক্ষক-কর্মচারি নেতৃত্বের বাড়িতে ভাঙচুর ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। মোহনপুরে শিক্ষক কর্মচারি নেতৃত্বের রাবার বাগান পুড়িয়ে দেওয়া, বাড়িতে আগুন লাগানোর মত ঘটনা ঘটেছে। বিশালগড়ে ২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নেতৃত্ব দৈহিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। আরো ৫ জন নেতৃত্বের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

এছাড়া সোনামুড়া, বিলোনিয়া, শান্তিরবাজার সহ বিবিন্ন মহকুমায় বিশাল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারি নেতৃত্ব দৈহিক ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মানসিক নির্যাতন চলছে রাজ্য জুড়ে। চলছে প্রচণ্ড চাঁদার জুলুম। প্রতিটি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান ত্রিপুরা কর্মচারি সমন্বয় কমিটি। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমাজ বিরোধীদের শাস্তি দাবি করছে সংগঠন। এবং এই ঘটনাগুলির প্রতিবাদে আগামী ১১ জুন আগরতলায় ৮ দফা দাবি নিয়ে যৌথ কনভেনশন করা হবে। তারপর ধারাবাহিক ভাবে লড়াই আন্দোলন চলবে বলে জানান স্বপন বল। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহুয়া রায় সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য