স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ মে : শনিবার রাত থেকে রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছে মণিপুরে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা। বিমানবন্দরে সন্ধ্যা থেকেই অপেক্ষারত অবস্থায় ছিলেন অভিভাবকরা। মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় মাঝরাতে এমবিবি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় মনিপুরের ইম্ফল থেকে বিশেষ বিমান। বিমানে ছিল সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা মনিপুর।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কে ছিল। অভিভাবকরা এবং সেখানে অবস্থানরত মানুষের পরিবার পরিজন গত দুদিন ধরে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে বিশেষ বাণিজ্যিক বিমানে ব্যবস্থা করেছেন। শনিবার মধ্যরাত ১২ টা ১৫ মিনিটে বিমানটি ইম্ফল থেকে আগরতলায় আসে। মধ্যরাতে ১ টা ৪ মিনিটে ইম্ফল থেকে গৌহাটি পর্যন্ত অপর একটি বিমানের বিমানে ৩৭ জন পড়ুয়া আসে। তাদের গোহাটি বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে রেসিডেন্সিয়াল কমিশনার। তারা গোহাটি ত্রিপুরা ভবনে ছিল এদিন। রবিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের বিমানে রাজ্যে আসে বাকি ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে রাজ্যে ফিরে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিমত জানতে চাইলে তারা জানায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সিদ্ধান্তের কারণে তারা মনে করছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। কারণ মনিপুরে দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। চারদিক থেকে শুধু গুলি আর বোমার আওয়াজ।
আগুনের যেন জ্বলে উঠছে শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পাহাড় সর্বত্র। হোস্টেলে বাইরে নিরাপত্তা কর্মী বেষ্টিত থাকলেও নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব বোধ করেছে বলে জানায় তারা। এর মধ্যে ছিল কারোর কোলে ছিল ৬ মাসে শিশুর। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিজের জীবনকে বাজি রাখতে পারলেও স্কুলের শিশুটির জীবন যেন আর বাজি রাখতে পারছিল না। কখন ফিরবে বাড়িতে, একটাই লক্ষ্য ছিল। এদিকে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিল পরিবারের সদস্যরা। এ যেন এক ভিন্ন চিত্র উপলব্ধি করেছে নতুন প্রজন্ম। তারা জানান এই পরিস্থিতি সম্মুখীন তারা কখনো হয়নি। তবে গত এক বছর ধরে শুনছিল ইউক্রেনে চলছে যুদ্ধ। অনেকের জন্য কোথায় আছে বলে বোঝা না বুঝা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সারা দেশবাসী চাইছে এভাবে মেরি কমের রাজ্য ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া দরকার। সবুজ মনিপুর আবারো ফিরে পেতে চায় দেশবাসী।