স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : সরকারের সাবকা সাথ, সাবকা বিকাশ ভুলন্ঠিত করতে এবার শাসক দলের কর্মীরাই ষড়যন্ত্রে নেমেছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে বলে ২০১৮ তে রেশন ডিলারের মুখ পরিবর্তন চেয়েছিল গ্রামের বিজেপি কর্মীরা। পাঁচ বছরে তাদের চক্রান্ত সফল না হওয়ায় বর্তমানে তারা রেশন শপ থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে ডিলারকে।
এই ঘটনা বুধবার প্রত্যক্ষ করা গেছে তেলিয়ামুড়া মহকুমাধীন ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বালুছড়া এলাকার ২২ নম্বর রেশন শপে। ঘটনার জেরে ময়দানে নামতে হলো পুলিশকেও। এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২২ নম্বর রেশন শপটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করছেন সঞ্জীত বিশ্বাস নামে এক ডিলার।২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর বেশ কিছু রেশন শপের মালিকানা বা ডিলারশিপ পরিবর্তন হলেও জোর দাবি সত্ত্বেও বালু ছড়ার এই ২২ নম্বর রেশন শপের ডিলার বদল হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন রেশম শপ পরিচালনা করার ফলে রেশন শপের মধ্যে নিরন্তর ভাবে দুর্নীতি করে চলেছেন সঞ্জিতবাবু, দপ্তরের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে সময় মত দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন অভিযোগগুলো পুঞ্জিভূত হতে থাকলেও চতুর রেশন ডিলার সঞ্জীত বাবু নাকি একাংশ মাতব্বরদের সাথে গোপন বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে নিজের দূর অভিসন্ধীমূলক কার্যকলাপ বহাল তবিয়তে জারি রেখেছেন। বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা রেশন শপে গিয়ে হামলে পড়েন এবং জোরপূর্বক রেশন ডিলার সঞ্জিত বিশ্বাসকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য বলতে থাকেন।
সেই সময় স্থানীয়দের সাথে রেশন ডিলার এবং তার পরিবারের সদস্যদের হাতাহাতির মত ঘটনাও সংগঠিত হয়। একটা সময় গোটা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়ে তেলিয়ামুড়া থেকে পুলিশকেও ছুটে যেতে হয়েছে ঘটনাস্থলে। স্থানীয়দের দাবি সঞ্জীত বাবুকে রেশন শপ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে মারামারির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের বক্তব্য উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বাদ-বিতণ্ডা চলে। এই খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় এলাকাবাসী এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের দরবারে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে গোটা বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের দাবি দপ্তর রেশন শপ থেকে তাকে সরিয়ে দেন তাহলে তিনি রেশন শপ ছেড়ে দেবেন। সঞ্জিত বিশ্বাসের আরো অভিযোগ তার পরিবারের মহিলাদের উপর সম্মিলিতভাবে দৈহিক আক্রমণ সংগঠিত করাছে। কিন্তু এদিনের ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে জোর যার মুলুক তার। সরকার পরিবর্তন হয়েছে বলে একজন রেশন ডিলারের পেটে লাথি মারার অধিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দেওয়া হয়নি। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন। যদি এ ধরনের অপকৌশল এলাকায় রুখতে না পারেন তাহলে দল কালিমা লিপ্ত হবে। কিন্তু প্রশাসন যদি শাসক দলের কথায় উঠে বসে তাহলে সেটাও হবে এক মস্ত বড় ভুল।