স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ মার্চ : আখাউড়া হয়ে কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের জন্য তাকিয়ে রয়েছে কাঁটাতারের সীমান্তের দু’প্রান্তের মানুষ। শীঘ্রই চালু হবে দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ। পরিবহন যন্ত্রী আখাউড়া আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমনটাই আশ্বাস দেন। এদিন মন্ত্রী দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সাথে কথা বলেন। রেল মন্তকের আধিকারিকদের কাছ থেকে কাজের খোঁজখবর নেন। পরে তিনি বলেন, রেলপথ কাজের প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আখাউড়া হয়ে কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। ভারত বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে আগরতলা থেকে কোলকাতা যেতে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা। কারণ ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে হবে ৫৫০ কিলোমিটার।
আগরতলা আখাউড়া রেলপথে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রবেশের ভারতীয় অংশে নিশ্চিন্তপুর রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বাধুনিক সব সুবিধা যুক্ত করে স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে। যাত্রীদের বসার সুবন্দোবস্ত, বিনোদনের ব্যবস্থা, ফুড কোর্ট, ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে শুরু করে এ টি এম সহ আধুনিক রেল স্টেশনে যেসব সুবিধা থাকে তার সব ব্যবস্থা রেখে নিশ্চিন্তপুর রেল_ স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের পাশেই পণ্য উঠানো ও নামানোর জন্য রেল ইয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রেনে করে আসা কন্টেইনার এখানে নামানো হবে। এরপর সড়ক পথ ধরে এবং ভারতীয় ট্রেনে করে এ পণ্যগুলো উত্তরপূর্বের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে। পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন এলাকার বিধায়িকা মীনা রানী সরকার, পরিবহন দপ্তরের সচিব উৎপল কুমার চাকমা, অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, রেলপথ নির্মাণের সাথে যুক্ত ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।