স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ মার্চ : শপথের আগেই ইস্তফা দিলেন ধনপুরের বিজয়ী প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২ মার্চ ফলাফল ঘোষণা হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় তিনি জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদত্যাগ পত্র তুলে দিলেন প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাসের হাতে। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে প্রোটেম স্পিকারের হাতে পদত্যাগ পত্রটি তুলে দেন ধনপুরের বিজয়ী প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি বিধায়িকা হিসেবে দায়িত্বে না থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ধনপুরবাসীর। বহু আশা ভরসা নিয়ে এলাকায় জয়ী করেছিলেন হাই ভোল্টেজ নেত্রী প্রতিমা ভৌমিককে। ফলাফলের ১৪ দিনের মধ্যে যে এ ধরনের ঘটনা সামনে উঠে আসবে সেটা হয়তো ধারণা ছিল না আবেগ প্রবন ধনপুরবাসীর। কারণ ভোটে লড়াই করার জন্য প্রার্থী হয়ে ধনপুরে মানুষকে বহু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রতিমা ভৌমিক। কিন্তু শূন্য হাতেই যে ইস্তফা দিয়ে দেবেন সেটা হয়তো ভাবতেও পারেনি কেউ। সুতরাং এই বিধানসভা কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন হতে চলেছে সেটা আরো একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বুধবার। তবে এই বিধানসভায় কেন্দ্র থেকে আগামী দিনে লড়তে চলেছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।
ইস্তাফার দেওয়ার পর প্রতিমা ভৌমিক জানান, তাঁর দুই জায়গাতে সদস্য পদ রয়েছে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী একসাথে দুটি পদে থাকতে পারবেন না। তাই দলের নির্দেশে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সদস্য থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন তিনি। এবং নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি গুলি দিয়েছিলেন সেগুলি পালন করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সরকারের পাশে থেকে পূরণ করবেন বলে আশ্বস্ত দেন ধনপুরের গণদেবতাদের। তবে অনেকে প্রশ্ন সংসদীয় নিয়ম সম্পর্কে কি অবহিত ছিলেন না প্রতিমা ভৌমিক এবং তার দল? নাকি মানুষকে বেকুব বানানোর জন্য দুটি পদের সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না বলে এবার মন্তব্য করছেন তিনি এবং তাঁর রাষ্ট্রবাদী দল? প্রোটেম স্পিকার জানিয়েছেন একসাথে দুটি সদস্যপদ গ্রহণ করে থাকতে পারবেন না বলে বিধায়িকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রতিমা ভৌমিক। প্রতিমা ভৌমিকের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে আনা এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জয়ী হন প্রতিমা ভৌমিক। তিনি মোট ভোট পান ১৯,১৪৮ টি। অপরদিকে বাম প্রার্থী কৌশিক চন্দ পায় ১৫,৬৪৮ টি ভোট। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটের ব্যবধানে বিধায়িকা হিসাবে জয়ী হন প্রতিমা ভৌমিক। ভোট কাটাকাটির সুবাদে এই জয়। তবে সর্বশেষ কথা হল রাজ্য রাজনীতিতে চলছে শুধু ছেলে খেলা।