স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : চার বছর এক মাস বিধায়কের গাড়ি চালিয়ে ভাগ্যে জোটেনি কয়েক মাসের পারিশ্রমিক। প্রায় কুড়ি হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে গাড়ি চালক শয়ন দাসের। অসহায় গাড়ি চালক শয়ন দাস সংসার পরিচালনা করতে না পেরে ১১ মার্চ রাতে নলছড়ের প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাসের কাছে যান। তখন প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে সুব্রত দাস ও দেবব্রত দাস এবং বিধায়কের ভাই সুকুমার দাস বাড়িতে নিয়ে গাড়ি চালককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি থেকে কোনক্রমে প্রানে বেঁচে ফিরেন গাড়ি চালক।
এ নিয়ে গ্রামবাসী এবং গাড়ির চালক অভিযোগ তুলেন, বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ দাস চোর দুর্নীতিবাজ। সুভাষ দাস নলছড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ সুভাষ দাস সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ না পেয়ে এক প্রকার ভাবে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। এলাকায় বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কিশোর বর্মন যাতে সিপিআইএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয় তার জন্য তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান স্বদলীয় কর্মীরা। তাদের বক্তব্য শনিবার সন্ধ্যায় প্রাক্তন বিধায়ককে এবং প্রাক্তন বিধায়কের দুই ছেলেকে কেউ মারধর করেনি। বরং সুভাষ দাস তার ছেলে ছেলেদের নিয়ে এক গাড়ির চালককে মারধর করেছে। এবং বিধায়কের ছেলের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ও মারধোরের যে অভিযোগ তুলেছেন সেটাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান। গ্রামের মহিলাদের আরো অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়ক সোনামুড়া থানা আবার মিথ্যা মামলাও করেছেন। এলাকাবাসী প্রাক্তন বিধায়কের কঠোর শাস্তি দাবি করলেন এদিন। এখন দেখার বিষয় পুলিশের তদন্তে কি বের হয়ে আসছে।