স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে কয়েক ঘন্টা আগে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয় সোমবার দুপুরে। ঘটনায় আহত হয় উভয় দলের কর্মী সমর্থক। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার দুপুরে রাধানগর স্থিত রাধামাধব মন্দির সংলগ্ন ৬ আগরতলা এলাকায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনায় আহত হয় বিজেপির যুব মোর্চা অফিসের কার্যকর্তারা এবং কংগ্রেসের প্রচার সজ্জার গাড়ি চালক। ঘটনার বিবরণে জানা যায় এদিন প্রচারের গাড়িটি আবাসনের দিক থেকে রাধা মাধব মন্দির স্থিত বিজেপির কার্যালয়ের সামনে আসতেই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ কংগ্রেসের ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মন্ডল অফিসে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। ঘটনায় রক্তাক্ত হয় পাঁচ জন যুব মোর্চা কর্মী। এদিকে কংগ্রেসের প্রচার সজ্জার গাড়ি চালকের অভিযোগ দুর্বৃত্তরা গাড়িতে মন্ডল অফিসের সামনে আসতেই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। শুধু তাতেই ক্ষান্ত থাকেনি দুর্বৃত্তরা। মারধর করে তাকে। গাড়ি চালক আরো জানায়, গাড়িতে মন্ডল অফিসের সামনে আসতেই দুর্বৃত্তরা কংগ্রেসের প্রচারের গানের শব্দ কমাতে বলে, তারপর গাড়ি চালককে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করে বিজেপির দুর্বৃত্তরা এবং কংগ্রেসের প্রচার-সজ্জা ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয়। এদিকে যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাকেশ দাস জানান, কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মনের আশ্রিত দুর্বৃত্তরা প্রধানমন্ত্রীর সভা বানচাল করতে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপি অফিসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মারধর করা হয়েছে বহু কর্মীকে। ভাঙচুর করেছে গাড়ি ও বাইক। ছিনতাই করে নিয়ে গেছে একাধিক মোবাইল ফোন। ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি জনগণ কংগ্রেসকে যোগ্য জবাব দেবে। আর দুই মার্চ তারা ছাড়বে না বলে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাকেশ দাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী। দীর্ঘ প্রচেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।