স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জানুয়ারি : নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিক্ষোভ ছড়ানো, দলীয় পতাকা খুলে নেওয়া, প্রচার সজ্জা নষ্ট করা, কিংবা দলীয় কার্যালয় এ তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি এই রাজ্যে বহু পুরনো। বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনে এ ধরনের সংস্কৃতি রাজ্যবাসীর কাছে এক চিরাচরিত মুখ। আর এই সংস্কৃতির সঙ্গে খুবই পরিচিত কংগ্রেস।
যার প্রমাণ মিলল আবারও শনিবার। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৪৫ কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হালাহালি স্থিত কংগ্রেসের দলিয় কার্যালয়ে। কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে রুবি ঘোষ এর নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। দুরদিনে যারা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন তাদের বক্তব্য নানা অত্যাচার সহ্য করে তারা কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন। যাকে প্রার্থী করা হয়েছে রুবি ঘোষ তিনি সকলের কাছেই অচেনা অজানা মুখ।
তার পরিবর্তে কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে অন্য কোন ব্যক্তির নাম কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা না হলে ৪৫ কমলপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি দেবব্রত মালাকার, ৪৬ সুরমা কেন্দ্রের ব্লক সভাপতি হরিপদ দাস, জেলা কংগ্রেস সভাপতি ক্রীতেশ রায় এবং আমবাসা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রূপক ধর পুরকায়স্তরা সবাই মিলে একসাথে পদক্ষেপ করার পাশাপাশি এবং দল ত্যাগ করার হুমকি ও দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। ৪৫ কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি বামফ্রন্ট। জোটের প্রেক্ষাপটে আসন ভাগাভাগির কারণে ৪৫ কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্র কংগ্রেসের জন্যই রাখা হয়েছিল। বলা যেতে পারে রুবি ঘোষের নাম কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ আর বিক্ষোভ ভারতীয় জনতা পার্টিকেই এগিয়ে দিল প্রাথমিক পর্যায়ে।