স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জানুয়ারি : খাল কেটে কুমির আনবেন না, ঠকবেন। নিজেদের অর্জিত অধিকারগুলি হরণ করে নিয়ে যাবে। বিজেপি দিবারাত্র একচেটিয়া পুঁজি-প্রতিদের জন্য কাজ করছে। তারা লুটেরা, গরিবের রক্ত মাংস নিগড়ে নিয়ে পুঁজিপতিদের অর্থ পাহাড় সমান করছে। দেশকে ফাঁকি দিয়ে এবং কর না দিয়ে পুঁজিপতিরা বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে।
এবং বিদেশ গিয়ে সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখছে। এর হিসেব এ সরকার জানলেও দেশবাসী কাছে বলছে না এবং পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। এখন তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি সম্মিলিতভাবে ভারত বর্ষকে নিগড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তাদের নেতা নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করলে রাজ্যবাসী ঠকবে। আর এগুলি ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে বুঝানো হলেও মানুষ বিশ্বাস করেনি। ফলাফল যখন বের হয়েছে তখন দেখা গেছে বামফ্রন্ট পরাজিত হয়েছে। তারপরও দেখা গেছে সব মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে পারেনি। ৫০ শতাংশ থেকে কিছুটা বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি ও আই পি এফ টি জোট সরকার। কিন্তু রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি। সেটা মানুষকে বোঝানো সম্ভব হয়েছিল। সুতরাং যাদের ভোটে ত্রিপুরায় সরকার সেদিন পরিবর্তন হয়েছিল তারা সম্পূর্ণভাবে অবাম সমর্থিত ছিল। দেখা গেছে ৫৮ মাসে তারাই প্রতারিত হয়েছে। এ সরকার আবার প্রতিষ্ঠিত হলে রাজ্যের মানুষের সর্বনাশ হবে। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। তাই এ সরকারের প্রতি দায়বদ্ধতা আশা করলে ভুল হবে। রবিবার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সি আই টি ইউ -র সমাবেশে বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ভীষণ ডকুমেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে মূল মাথা ছিল বর্তমান এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাদের প্রতিশ্রুতিতেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিল।