স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ ডিসেম্বর : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমবার রাজধানীর বাধারঘাট মাতৃপল্লী স্থিত অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নব নির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। একই সাথে সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছা সেবকদের বেসিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত হয়েছে ফায়ার সার্ভিস দপ্তর। বর্তমান সরকার ফায়ার সার্ভিস দপ্তরকে আরও আধুনিকিকরনের চেষ্টা করছে। একটা সময় ঘণ্টা বাজিয়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আগুন নিভানোর জন্য ছুটে যেত। বর্তমানে সাইরেন বাজিয়ে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আগুন নিভানোর জন্য ছুটে যায়। শুধুমাত্র ফায়ার সার্ভিস দপ্তরে কর্মরত কর্মীদের দিয়ে জরুরি পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছা সেবকদেরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবকরা। টাকার কোন সমস্যা নেই। ভালো কাজের জন্য সরকার টাকা দেবে। কিন্তু সেই টাকা সঠিক ব্যয় করা হচ্ছে কিনা এবং মানুষের কাজে আসছে কিনা তার প্রতি নজর রাখবে সরকার। এ দপ্তরকে আগামী দিনে আরও কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। পাশাপাশি দপ্তরের কর্মীদের কাজের অত্যন্ত প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অগ্নি নির্বাপক দপ্তর বর্তমানে একটি নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কারণ সরকার এই দপ্তর উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক বলে জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। তিনি আরো বলেন, দমকল কর্মীরা মানুষের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, তাই তাদেরও কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেদিকে সরকারের চিন্তাভাবনা করছে।
অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নব নির্মিত ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩.১৮ কোটি টাকা। এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের বিগত চার বছরের সাফল্য নিয়ে বর্ণিত বুকলেটের আবরণ উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, বিধায়িকা মিমি মজুমদার সহ ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের আধিকারিকরা। এছাড়াও এইদিনের অনুষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মী ও সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি ছিলেন।