Tuesday, June 17, 2025
বাড়িরাজ্যসরকারি কার্যালয়ে দাদাগিরি এ.ভি.বি.পি নেতার

সরকারি কার্যালয়ে দাদাগিরি এ.ভি.বি.পি নেতার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : এ.ভি.বি.পি নেতা দ্বারা সরকারি কর্মচারী হেনস্তা অভিযোগ। চেয়ার, টেবিল ফেলে দিয়ে প্রানে মারার হুমকি দেয় এই শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা। ঘটনা কৈলাসহরে গোবিন্দপুর এলাকার ঊনকোটি জেলা স্পোর্টস অফিসে। এই ঘটনায় সরকারি কর্মচারী গোপাল চৌধুরী আতঙ্কিত হয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।

শাসক দলের ছাত্র সংগঠন এ.ভি.বি.পি -এর প্রভাবশালী নেতা কৈলাসহরের সফরিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সফাত আলী। জেলা স্পোর্টস অফিসে ছাত্র নেতা সফাত আলীর সাথে পনেরো থেকে কুড়ি জন দুর্বৃত্তরা ছিলেন বলে জানান সরকারি কর্মচারী গোপাল চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এই খবরটি সামাজিক মাধ্যমে চাউর হতেই সরকারি কর্মচারী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ঘটনার পর সরকারি কর্মচারী গোপাল চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি একজন শারীর শিক্ষক হলেও বিগত তিন বছর ধরে জেলা স্পোর্টস অফিসে যুগ্ম সচিব হিসেবে অফিসে কাজ করছেন।

বিগত কিছু দিন পূর্বে ক্রিড়া দপ্তর থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছিলো সারা রাজ্যে শারীর শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এর জন্য ইচ্ছুক প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার স্পোর্টস অফিসে আবেদন করার জন্য। সে অনুযায়ী ঊনকোটি জেলা থেকে মোট ১৮২ জন প্রার্থী আবেদন করার পর জেলা স্পোর্টস অফিস থেকে তাদের কাগজ পত্র আগরতলায় দপ্তরের অফিসে পাঠানোর পর দপ্তর আবেদনকারীদের সবার কাগজ পত্র পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পর একশো চল্লিশ জনের কাগজ পত্র সঠিক ছিল। বাষট্টি জন প্রার্থী বাতিল হয়ে যায়। সে অনুযায়ী একশো চল্লিশ জন প্রার্থীকে দপ্তরের পক্ষ থেকে কল লেটার দেওয়া হয়। যথারীতি ১৪০ জন প্রার্থী আগরতলায় গিয়ে ইন্টারভিউ দিতেও শুরু করেছেন। অন্যদিকে বাতিল হওয়া বাষট্রি জন প্রার্থীর মধ্যে কৈলাসহরের সফরিকান্দি গ্রামের সাফাত আলীও একজন।

 ঊনকোটি জেলা ক্রীড়া কার্যালয়ের সরকারি কর্মচারী গোপাল চৌধুরীর অভিযোগ  বাতিল হওয়া সোমবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ গোপাল বাবুকে ফোন করে বিশ্ৰী ভাষায় গালাগাল দেন। তার কাগজপত্র দিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন তাকে বাতিল করা হয়েছে এর লিখিত জবাব চায় শাসক দলের ছাত্র সংগঠন এ ভি বি পি -এর শাফাত আলী। নিজেকে আবার প্রভাবশালী নেতা বলেও নাকি দাবি করেছে। মঙ্গলবার সাফাত আলী তার দল বল নিয়ে ক্রীড়া কার্যালয়ে হাজির হয় । সেই সঙ্গে সরকারি কর্মচারী গোপাল চৌধুরীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। তার উপর চেয়ার ছুড়ে মারে সাফাত আলী। গোটা ঘটনায় গোপালবাবু আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জেলা ক্রীড়া কার্যালয়ের অধিকর্তা দিবাকর দেবনাথ বাইরে থাকায় এখনো পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি। জেলা ক্রীড়া অধিকর্তার অনুমতি না পেলে মামলা করতে তিনি চাইছেন না। এদিকে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের এই গুণধর নেতার ও করবে সমস্ত অংশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!