স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ১০,৩২৩ নিয়ে কল্পতরু হচ্ছে সরকার। কিন্তু বের হচ্ছে না কোন সমাধানের সূত্র। মঙ্গলবার মহাকরণে চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ -এর বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে এডভোকেট জেনারেল, আইন সচিব সহ দপ্তরের আধিকারিক এবং ১০,৩২৩-র বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অংশ নেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই বৈঠক। পরে বৈঠক শেষে বেড়িয়ে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির পক্ষে তাদের আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা জানান সময়ের কারনে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব হয়নি বলে জানান। আরও একটি দিন বৈঠকের জন্য নির্ধারণ করা হবে।
সেই দিন ফের আলোচনা করা হবে পরবর্তী বিষয় গুলি নিয়ে। সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তার সমাধানের দিকে যেতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনা বলে জানান তিনি। আদালতে সমস্ত কিছুর নিরসন হয় না। আদালতের বাইরে কিছু বিষয় থাকে নিরসনের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর স্বদিচ্ছা আছে বলেই এই বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী চন্দ্রশেখর সিনহা। তিনি বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক। তাই অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী দিনের জন্য। তবে এই বৈঠক শেষে সাময়িক স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে ১০৩২৩ শিক্ষকদের মধ্যে। মহাকরণের বাইরে বহু চাকুরিচ্যুত শিক্ষক এদিন ভীড় জমায়।
তবে এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। সংগঠনের নেতা প্রদীপ বণিক জানান, মুখ্যমন্ত্রী দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল একজন লিগেল এডভাইজার নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজ সংগঠনের কেউ আইনের ছাত্র নয়। সকলে শিক্ষকতা করেছেন। সুতরাং আইনগতভাবে কোন সার্টিফিকেট নেই। পরবর্তী সময়ে একাধিক প্রতিনিধি মঞ্চ থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হলে তাদের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই অনশন মঞ্চ থেকে কেউ যায়নি বলে জানান। তবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবি পালকে মহাকরণের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান প্রদীপ বণিক।