স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : মঙ্গলবার আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে শহরের অবৈধ স্থাপন এবং অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করা জমি দখলমুক্ত করা হয়। শহরের বটতলা থেকে দশমী ঘাট যাওয়ার রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু দোকান এইদিন পুর নিগমের পক্ষ থেকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দুপুরে সাড়ে বারোটার নাগাদ খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। বটতলা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সাথে। অসহায় ব্যবসায়ী রা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ মানিক সরকারের পায়ে পড়ে অসহায়ত্বের কথা জানান।
পরে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার দলীয় কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এদিন সকাল থেকে আগরতলা শহরে বটতলা এলাকা থেকে শুরু করে দশমীঘাট এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙ্গা হয়েছে, তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় কোন নোটিশ ছাড়াই এদিন সকালবেলা রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে জবরদস্তি দোকানপাট ভাঙতে শুরু করে নিগম কর্তৃপক্ষ। এমনকি দোকান থেকে কোন ধরনের জিনিস বের করার সুযোগ দেওয়া হয়নি দোকান মালিকদের। দোকানদারদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া উচিত ছিল। বেশকিছু দোকান বিনা কারনে ভাঙ্গা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এদিন পুর নিগমের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন দশমীঘাটের আগে কিছু দোকানপাট ভেঙ্গে গুরিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দোকানগুলি মানুষ চলাচল করার কোন সমস্যার কারণ ছিল না। এবং এর সাথে থাকা রিক্সা শ্রমিকদের বিশ্রামাগারটি পর্যন্ত ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী এলাকার ৮-৯ টি দোকান ভেঙে দিয়েছে।
এবং এ দোকানগুলি কি কাজে লাগবে সে বিষয়েও জানেন না উচ্ছেদ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। জালিয়াতি করে পুর সভা দখল করেছে বিজেপি। তাদের দায়বদ্ধতা নেই। আধুনিক শহর করার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় এভাবে ভাঙচুর করায় গরীব মানুষদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এ ধরনের কাণ্ড হয়নি। কাউকে সরানোর প্রয়োজন হলে তাকে নোটিশ দেওয়া হতো এবং প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো। কিন্তু এখনকার মত রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করা হতো না। সবটাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যেতে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। আরো বলেন বল প্রয়োগ করে বাজার এবং রাস্তাঘাট সৌন্দর্য করার চিন্তা ভাবনা করছে বিজেপি পরিচালিত পুর নিগম। এটা কিসের স্মার্ট সিটি ? মানুষের ক্ষুধার অন্য কেড়ে নিয়ে রোজগার বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। শহর সুন্দর হল মানুষের মনের যন্ত্রণা তৈরি করে সুন্দর শহর হলেও কি হবে। এটা অমানবিক এবং স্বৈরাচারী বলে জানান তিনি। এইদিন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের সাথে বটতলা এলাকা পরিদর্শনে জানান সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, মহকুমা কমিটির সম্পাদক শুভাশিস গাঙ্গুলি, আগরতলা পুর নিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলার সমর চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।