স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বর্তমান জোট সরকার। সরকারের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে এই গল্প রাজ্যের মানুষ শুনতে শুনতে কান ভারী করে ফেলেছে। কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না নেশা মুক্ত ত্রিপুরা। এবার নির্বাচন এগিয়ে আসতেই সরকার এবং মন্ত্রী বাহাদুর মাঠে নেমে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে মানুষকে আবারো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে আগরতলা পুর নিগমের কনফারেন্স হলে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক রেবতী মোহন দাস, ডাঃ দিলীপ দাস।
এদিন তারা কাউন্সিলর, কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব এবং আরক্ষা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে এই বৈঠক করেন। বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কাউন্সিলর এবং আরক্ষা প্রশাসনের আধিকারিকদের নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরে তিনি জানান, যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে নেশা রুখতে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু করা হয়েছে। স্পেশাল ড্রাইভ হেজামারা, জিরানিয়া, মোহনপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে। প্রত্যেক জেলা, প্রত্যেক মহকুমা সহ প্রত্যেক ব্লক এলাকায় স্পেশাল ডাইভ অনুষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজকে বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আগরতলা পুর নিগমের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের এই স্পেশাল ড্রাইভ কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায় এবং এই জনসচেতন মূলক স্পেশাল ড্রাই ভ যাতে বাস্তব রূপ দেওয়া যায় তার জন্য এদিন কাউন্সিলর এবং বিধায়কদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এবং যারা নেশা মুক্ত কেন্দ্রে গিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তাদেরও স্পেশাল ডাইভে বড় ভূমিকা থাকবে বলে জানান তিনি।
কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই দিন মন্ত্রী মশাই বৈঠক করলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে কিভাবে জাতীয় সড়ক ধরে বিভিন্ন সময় গাঁজা ও নেশা সামগ্রী দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। কখনো কখনো এই গাঁজা এবং নেশা সামগ্রী আসাম চোরাইবাড়ি পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে পুলিশ আটক করছে না। জাতীয় সড়কের উপর একাধিক থানা থাকার পরেও কিভাবে নাকা পয়েন্ট অতিক্রম করে গাঁজা এবং নেশা সামগ্রী রাজ্যে বাইরে পারাপার হচ্ছে। এর পেছনে রাজ্য পুলিশের কোন হাত রয়েছে কিনা সে বিষয়টা কেন যাচাই হচ্ছে না, সেটাও বড় একটা প্রশ্ন জনমনে সৃষ্টি করেছে।