স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ নভেম্বর : নারী নির্যাতনের ঘটনায় হ্রাস টানতে পারছে না আরোক্ষা প্রশাসন। প্রতিদিন নারী সংক্রান্ত ঘটনা লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে। এ ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনার সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বুধবার রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাড়া ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির।
এইদিনের কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত, পাঞ্চালি ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। তারা জানান সম্প্রতি নারী সংক্রান্ত ঘটনা ত্রিপুরা রাজ্যের বীভৎস আকার ধারণ করেছে। এবং এর সাথে জড়িত শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। শিশুকন্যা থেকে শুরু করে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। পরবর্তী সময় থানায় গিয়ে পর্যন্ত তাদের ন্যায় মিলছে না। নারী নেত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্য জানান এইদিন নারী সমিতির কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল। কিন্তু পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের মাইকের তার কেটে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হওয়া কর্মী সমর্থকদের উত্তক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নারী সমিতির কর্মী সমর্থকরা সংযত ভাবে তাদের কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন নারী নেত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্যী বলেন নারীরা এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে এসেও পুলিশের দ্বারা হেনস্থার শিকার।
নারী সমিতির সদস্যদের মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি নারী সমিতির মিছিলটি এলাকায় পৌঁছাতেই পুরুষ পুলিশ দিয়ে একাধিকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। মাইক্রোফোনের তার কেটে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এ ধরনের কার্যকলাপ অত্যন্ত অন্যায়। প্রত্যেকেই প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। এবং এ দিনের ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এবং সমস্যা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে ফেলছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এইদিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নারি সমিতির কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালীন সময় এইদিন পুলিশ ও নারি সমিতির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে একটা সময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।