স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : রাজ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০০ টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের আওতায় আনা হয়। মূলত স্কুলগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবছ বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে স্কুল বিদ্যাজ্যোতি মিশন প্রকল্পে আওতায় আসেনি। সেজন্য রাজ্য সরকার বাজেটে সিদ্ধান্ত নেয় আরো ২৫ টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি মিশন স্কুলের প্রকল্পে আওতায় আনার। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে আরও ২৫ টি নতুন স্কুলের নাম ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। একই সঙ্গে বিধানসভা কেন্দ্রগুলির নামও ঘোষণা করেন তিনি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই স্কুলগুলিতে পঠন পাঠন শুরু হবে।
বর্তমানে বিদ্যাজ্যোতি মিশনে মোট স্কুলের সংখ্যা দাড়ালো ১২৫ টি। তিনি আরো জানান রাজ্য সরকারের সুপার থার্টি স্কিমের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত ৯০ জনকে বহির্রাজ্যে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম ব্যাচের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম ব্যাচের ৩০ জনের মধ্যে ২৪ জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য সুযোগ পেয়েছেন। বাকি ৬ জন দ্বিতীয়বারের জন্য চেষ্টা করবে। কিন্তু এই প্রকল্পের নীতি অনুযায়ী রাজ্য সরকার এককালীন আর্থিক সহায়তা করে থাকে। তাই এই আর্থিক সহায়তা দ্বিতীয়বারের জন্য তারা পাবেন না। মন্ত্রী আরো জানান ছয়টি ডিগ্রী কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ইংরেজি ও বাংলায় এম এ কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ছটি মহাবিদ্যালয়ে এম এ কোর্স চালু হবে। এই ছটি মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি মহাবিদ্যালয় রয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এবং দুটি মহাবিদ্যালয় রয়েছে এম বি বি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৫ নভেম্বর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কোর্স চালু হবে। ছটি মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের জন্য ১০০ টি আসনের মধ্যে ৯৮ জন ভর্তি হয়েছে এবং বাংলার জন্য ১০০ টি আসনের মধ্যে ৯৫ জন ভর্তি হয়েছে। তিনি আরো জানান ২০১৮ সালের ৯ মার্চের আগে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে সরকারি না চাকরি থাকলে সরকারের কাছে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছিল।
সেই মোতাবেক একটি কমিটি গঠন করা হয়। এখনো পর্যন্ত ২৬ টি আবেদনপত্র কমিটির কাছে জমা পড়েছে। ২০২০ সালের ২৩ শে ডিসেম্বর এই মর্মে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছিল। গঠিত কমিটি চার বার বৈঠক করে। কমিটির রেকমেন্ডেশন অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত আটজন বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন পেয়েছেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে এবং একজন শিক্ষা দপ্তরে। তিনজনের আবেদন বাতিল হয়েছে। আর সাতজনের আবেদন রিভিউ -র জন্য পাঠানো হয়েছে। সাতজনের আবেদন নতুন করে রেকমেন্ড করেছে কমিটি। দুটি আবেদন এখনো পেন্ডিং রয়েছে। ডিগ্রী কলেজের জন্য পাঁচ জন এবং আইন মহাবিদ্যালয়ের জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। সবশেষে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান এদিন নতুন করে জিটি পদে ১৪৮২ টি অফার ছাড়া হয়েছে। আরো যে শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন তার জন্য অনুমোদন চেয়ে অর্থ দপ্তরের কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।