স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ শাসক গোষ্ঠীর উপর তিতি বিরক্ত। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে শুধু বড় বড় কথা আর প্রতিশ্রুতি শুনছে। কাজের কাজ কিছুই নেই এই বিজেপির। উন্নয়ন পুরোপুরিভাবে স্তব্ধ হয়ে আছে। রাস্তাঘাটে বেহাল দশা, হাসপাতাল পরিষেবা নেই বললেই চলে। তিনি অভিযোগ তুলে আরো বলেন, কংগ্রেসের কর্মসূচি ছিল বলে সারা গন্ডা ছড়া জুড়ে বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দ
মবন্ধ কর জঙ্গলের রাজত্ব থেকে মানুষ বের হয়ে আসতে চাইছে। এবং মানুষের কংগ্রেসের উপর আস্থা আছে। কংগ্রেস রাজ্যের মানুষকে সাথে নিয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠিত হবে। শুক্রবার গন্ডাছড়া সফরে গিয়ে রাজর্ষি ডাকবাংলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই বললেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। পরে গন্ডাছড়ায় রাইমাভ্যলি ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে কংগ্রেসের এক সভার মধ্য দিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক ভোটার কংগ্রেস দলে যোগদান সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, ত্রিপুরা কংগ্রেসের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইনচার্জ জারিতা লাইপাং সহ রাইমাভ্যালী ব্লক সভাপতি রঞ্জিত ত্রিপুরা, ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার প্রমুখ। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, রাজ্যের মানুষ বহু আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই বিজেপি সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
ভেবেছিল ত্রিপুরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এ সরকারের আমলে। কিন্তু এই সরকারের আমলে বেকারার দিশেহারা এবং হতাশাগ্রস্ত। নেশায় আচ্ছন্ন যুবসমাজ। এবং এর নেশা কারবারের সাথে জড়িত বিজেপি নেতৃত্বের ভাই অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাই। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার থেকে সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দিল্লি সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার বর্তমানে বড়লোকদের যে ঋণ শোধ করছে এটা হল ২০১৪ সালের আগে কোটি কোটি টাকা ধান নিয়ে রেখেছিল বিজেপি। তাই এই বিজেপি সরকার ভন্ড, মিথ্যাবাদী এবং প্রতারক বলে অভিযোগ তুলেন শ্রী বর্মন।
ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষেত্রে তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ধোঁকা দিচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিন দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল একটা রেলি গন্ডাছড়া শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে উওর বাজারে এসে এক যোগদান সভায় মিলিত হয়। এই দিনের যোগদান সভায় বিভিন্ন দল ত্যাগ করে ৩৪ পরিবারের ১২২ ভোটার কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। দল ত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা।