স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৮ জুন : নেশায় আসক্ত হচ্ছে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও। উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। বুধবার বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ২০২৫ সালের ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, সি বি এস ই, অনুমোদিত বিদ্যারজ্যোতি বিদ্যালয় গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয় হাপানিয়া স্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গনে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বক্তব্য রেখে বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয় করে ৪৪ টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৪৬ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে পরি কাঠামোর জন্য ৮০ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আরো ৩০ টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন তৈরি করতে ২৬৪ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি ১২৩ টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৫৩ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। আরো বললেন, বিগত বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ফলাফল অনেকটাই ভালো হয়েছে। এবছর মাধ্যমিকের পাশের হার ৮৬.৩৫ শতাংশ। এক হাজার উনিশটি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪৫ টি বিদ্যালয়ে পাশের হার ১০০ শতাংশ। চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে ৩৯ টি বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ পাশ করেছে। একই সাথে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় গুলিতেও সফলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন শুধুমাত্র নিজের জন্য চিন্তা ভাবনা করলে চলবে না। দেশ এবং সমাজের জন্য কিছু করার চিন্তা ভাবনা করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। কারন এই সমাজের জন্য ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব আছে। কারণ সমাজের জন্যই তাদের ফলাফল বলা হয়। এই সমাজ পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন ভালো সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরলেই চলবে না। জীবনের প্রতি মুহূর্তে পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন রাজনীতির রাস্তাটাও সকল ছাত্রছাত্রীদের দেখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন যাদের পরিবারের মধ্যে কেউ রাজনীতিতে কখনো আসেনি তাদের পরিবার থেকে রাজনীতিতে আসার জন্য। তাহলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক মা। পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেলে বাস্তব জীবনে ভালো হবে এমন নয়। অনেকে কম নাম্বার পেয়েও বাস্তব জীবনে অনেক ভালো হয়েছে। শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তাহলে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে। সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য নিজেদের মেধা, জ্ঞান ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক।