স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ অক্টোবর : গত ১৯ অক্টোবর কুমারঘাট থানা এলাকায় ১৬ বছর বয়সী নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এই ঘটনা অভিভাবক মহলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের এখন পর্যন্ত কোন ধরনের হেলদোল নেই। এবং এখন পর্যন্ত পুলিশ যে ভূমিকা পালন করছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশ অভিযুক্তদের একটা অংশকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা করলেও বাকিদের গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ নেই।
কারণ এই ঘটনায় জড়িত স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীসভার সদস্যের পুত্র। তাই দাবি জানানো হচ্ছে সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। রবিবার বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা। তিনি বলেন এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমারঘাটে ঘটে চলেছে তেমনটা নয়, সারা রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে ঘটে চলেছে। গত আড়াই বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে ৪৬০ টি গণধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১৩ টি করে গণধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। যারা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এবং নারী স্বশক্তি করনের কথা বলেছিলেন বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা। আর তাদের মধ্যে এক মন্ত্রীর ছেলের নাম গণধর্ষণের তালিকায় উঠে এসেছে। এখন নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সেই মন্ত্রী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। আর মন্ত্রী পুত্রের নাম চলে আসতে মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুপ হয়ে রয়েছেন। বর্তমানে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদল কংগ্রেস চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন গত ৩২ মাসে ৩৬৩ টি মেয়ে নিখোঁজ। মানুষ জানতে চায় পুলিশ কি ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কিন্তু এবার এই গণধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দীপাবলির পর মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এবং মহিলা কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। তারা লেজুরবৃত্তি করে চলেছে। এগুলো বন্ধ না হলে ব্যপক গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কারণ মন্ত্রীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে মন্ত্রী পরিবারের সদস্য এই ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে জানান শ্রী সাহা। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাখু দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।