সংবিধানের প্রতি কোন আস্থা কিংবা সংবিধানের মধ্যে থেকে কাজ করার কোন মানসিকতা নেই বর্তমান এডিসি প্রশাসনের। ফলে এডিসি এলাকায় পরিস্থিতি দিনের পর দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপি-র সহসভাপতি তথা সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা। তিনি আরও জানান বর্তমান এডিসি প্রশাসন এডিসি এলাকা থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ১ জুন কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অফ মিডিয়া রাজ্যপালকে চিঠি প্রেরন করে ৫ টি বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে এডিসি প্রশাসন সাংবিধানিক নিয়ম মেনে কাজ করছে না। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রদত্ত অর্থ সঠিক ভাবে ব্যয় করা হচ্ছে না। তাই রাজ্যপালকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে চিঠিতে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের ডেপুটি সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি প্রেরন করেছেন।
রাজ্যের মুখ্য সচিব টিটিএএডিসি-র সিইও-কে চিঠি প্রেরন করেছেন। কিন্তু দের বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও এডিসি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। ২০১৮ সালে রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর এডিসি-কে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। মাঝে এডিসি-র ভিলেজ কাউন্সিল গুলিকে নিতি আয়োগের মাধ্যমে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭০ কোটি টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এডিসি প্রসাসনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এডিসি প্রশাসন এই টাকার অডিট করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত অর্থ এডিসি-র কার্যকরী সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেদের দালান বাড়ি তৈরি করছে। এডিসি-র সকল সদস্য সহ জোনালের চেয়ারম্যানরা আর্থিক নয় ছয়ের সাথে জরিয়ে পড়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা আরও অভিযোগ করেন এডিসি প্রশাসন সম্প্রতি বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করেছে। সেই লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এডিসি-র ৪৩ টি জায়গায় সাব জোনাল অফিস রয়েছে। অথচ অডিট করা হয়েছে ৭ থেকে ৮ টি সাব জোনাল অফিসের। এই সকল অভিযোগ গুলিকে তুলে ধরে বুধবার জনজাতি মোর্চার পক্ষ থেকে প্রতিটি সাব জোনাল অফিস এলাকার সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে স্মারক লিপি প্রেরন করা হবে। তারপরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ধাপে ধাপে আন্দোলন জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে জনজাতি মোর্চার প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেবে। সাংবাদিক সম্মেলন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরার সাথে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি মোর্চার রাজ্য সভাপতি বিকাশ দেববর্মা।
স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : টি টি এ এ ডি সি -তে দেড় বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিপ্রা মথা। তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন জনজাতি অংশের মানুষকে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের ২৫ বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন তিনি। টিটিএএডিসি-র সাধারন মানুষ ভেবেছিলেন হয়তো এইবার তাদের সুদিন আসবে। তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে এডিসি প্রশাসন। কিন্তু এডিসি-তে তিপ্রা মথা ক্ষমতায় আসার পর গত দের বছরে যে চিত্র সামনে এসেছে তা ভয়াবহ এবং চিন্তার বিষয়।
সংবিধানের প্রতি কোন আস্থা কিংবা সংবিধানের মধ্যে থেকে কাজ করার কোন মানসিকতা নেই বর্তমান এডিসি প্রশাসনের। ফলে এডিসি এলাকায় পরিস্থিতি দিনের পর দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপি-র সহসভাপতি তথা সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা। তিনি আরও জানান বর্তমান এডিসি প্রশাসন এডিসি এলাকা থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ১ জুন কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অফ মিডিয়া রাজ্যপালকে চিঠি প্রেরন করে ৫ টি বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে এডিসি প্রশাসন সাংবিধানিক নিয়ম মেনে কাজ করছে না। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রদত্ত অর্থ সঠিক ভাবে ব্যয় করা হচ্ছে না। তাই রাজ্যপালকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে চিঠিতে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের ডেপুটি সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি প্রেরন করেছেন।
রাজ্যের মুখ্য সচিব টিটিএএডিসি-র সিইও-কে চিঠি প্রেরন করেছেন। কিন্তু দের বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও এডিসি প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। ২০১৮ সালে রাজ্যের বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর এডিসি-কে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। মাঝে এডিসি-র ভিলেজ কাউন্সিল গুলিকে নিতি আয়োগের মাধ্যমে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭০ কোটি টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এডিসি প্রসাসনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এডিসি প্রশাসন এই টাকার অডিট করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত অর্থ এডিসি-র কার্যকরী সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেদের দালান বাড়ি তৈরি করছে। এডিসি-র সকল সদস্য সহ জোনালের চেয়ারম্যানরা আর্থিক নয় ছয়ের সাথে জরিয়ে পড়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা আরও অভিযোগ করেন এডিসি প্রশাসন সম্প্রতি বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করেছে। সেই লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এডিসি-র ৪৩ টি জায়গায় সাব জোনাল অফিস রয়েছে। অথচ অডিট করা হয়েছে ৭ থেকে ৮ টি সাব জোনাল অফিসের। এই সকল অভিযোগ গুলিকে তুলে ধরে বুধবার জনজাতি মোর্চার পক্ষ থেকে প্রতিটি সাব জোনাল অফিস এলাকার সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে স্মারক লিপি প্রেরন করা হবে। তারপরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ধাপে ধাপে আন্দোলন জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে জনজাতি মোর্চার প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে স্মারক লিপি তুলে দেবে। সাংবাদিক সম্মেলন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরার সাথে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি মোর্চার রাজ্য সভাপতি বিকাশ দেববর্মা।