স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : বাইক বাহিনী এখন আর বাইক চালাতে চাইছে না। তাই উত্তর প্রদেশ থেকে এখন বাইক আনতে হচ্ছে শাসক দল বিজেপির। পাশাপাশি ১০ হাজার লোক এনে বুথ স্তরে নিয়োজিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। আসলে এটা শাসক দলের দুর্বলতা ও জন বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারা যা চাইবে তা করতে পারবে ভাবলে ভুল ভাবছে। তাই বাম ছাত্রদের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। শাসক দলের এই পরিকল্পনা রুখে দাঁড়াতে হবে। এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার টাউন হলে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ২০ তম রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন শাসক দল প্রথমে যে সর্বশক্তি নিয়ে ৫০ শতাংশে অধিক ভোট পেয়ে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে শক্তি এখন আর তাদের নেই। সেসময় বিজেপি কংগ্রেস এবং আইএনপিটির ভোটে পাঁচ শতাংশ থেকে ভোট বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন তাদের সাথে সেই ভোটটা আর নেই। কারণ ইতিমধ্যে ছয় জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। সেই বিধায়করা বলেছেন আগামী দিনে কি আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে তারা মানুষের কাছে যাবে। তাই তারা বুঝতে পেরেছে নিজের পায়ে নিজে কোরাল মেরেছে। এটা শাসক দলের জন্য ভীষণ ধাক্কা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন শ্রী সরকার।
বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরো বলেন শাসক দল বিজেপি নিজেকে ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নির্বাচনের দশ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী চেহারা বদলেছে। বিজেপি এখন জনবিচ্ছিন্নতা ও অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারছে না। তাই অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে বিজেপি। কিন্তু নিতির পরিবর্তন করেনি। কিন্তু মানুষ চাক্ষস করছে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, রাজ খাদ্য শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সব কিছুর উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। এটা কল্পিত ছিল না। যার ফলে মানুষ যে দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিল, সেসব দলের পুনরায় ফিরে যাচ্ছে বলে জানান মানিক সরকার। এদিন আয়োজিত সম্মেলনে এসএফআই’র ১৭ তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের লোগো প্রকাশিত হয়। সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, এস এফ আই সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানু, রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব, সভাপতি সুলেমান আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন সম্মেলনের পর ৮৫ জনের কমিটি গঠন করা হয়। রাজ্য কমিটির মধ্যে সভাপতি হিসেবে সুলেমান আলী এবং সম্পাদক সন্দীপন দেব রয়েছেন।