স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ সেপ্টেম্বর : নারী নেত্রী আক্রান্তের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিম মহিলা থানা ঘেরাও করলো সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার হাঁপানিয়াতে সিপিআইএমের এক সভা ঘিরে দুর্বৃত্তদের দ্বারা পিয়ালী চৌধুরী নামে এক নারী নেত্রী আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির নেত্রী ঝর্ণা দাস বৈদ্য জানান, সেদিন সভা থেকে ফেরার সময় হাপানিয়া মেলা প্রাঙ্গণ, ওএনজিসি এবং থানার সামনে সামনে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ সংগঠিত করেছে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের উপর।
এমনকি পুলিশের আশ্বাসের পর সংগঠনের নারী নেত্রীরা পুলিশের বাসে করে আসছিলেন। তখন এই দুর্বৃত্তরা নারী নেত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পরে এক নারী নেত্রী তথা লোকাল কমিটির সম্পাদিকা পিয়ালী চৌধুরী অটো করে বাড়ি ফেরার সময় পেছনে বিজেপির দুর্বৃত্তরা ধাওয়া করে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে। বর্তমানে পিয়ালী চৌধুরী আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ঝর্ণা দাস বৈদ্য। তিনি বলেন রাজ্যে মহিলা থানা বামফ্রন্ট সরকারের আমলে হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এদিন মহিলা থানা ঘেরাও করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলে মহিলা থানার পুলিশের কি ভূমিকা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঝর্ণা দাস বৈদ্য।
তিনি বলেন যাদের মহিলার সুরক্ষার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তাদের ভূমিকা কি? তারা কার জন্য কাজ করছে। সারা রাজ্যে মহিলারা আক্রান্ত, মহিলাদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হচ্ছে। মহিলা থানার পুলিশরা সম্পূর্ণ নির্বিকার। এভাবে দলদেশে পরিণত হওয়া মহিলা থানার পুলিশদের ঠিক নয় বলে জানান তিনি। এবং বলেন রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশের মেজাজ কাদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে ? মহিলা পুলিশের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে পুলিশ যাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে। না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ঝর্ণা দাস বৈদ্য। পরবর্তী সময়ে ঝর্ণা দাস বৈদ্য, রমা দাস এবং কৃষ্ণা রক্ষিত সহ একটি প্রতিনিধি দল সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং মহিলা থানার ওসির কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন।